ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে 'উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছেন :::: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তাম্বুলে বলেছেন যে তিনি রবিবার বিকেলে মস্কো যাবেন এবং মার্কিন হামলার পরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাত করবেন :::: ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর 'সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান সৌদি আরবের :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় পরিস্থিতির অবনতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার :::: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ওমান, যুদ্ধের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে

নাবিকদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত মহাসাগরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের যেকোন মূল্যে সুস্থ ফেরত আনতে কাজ করেছে সরকার। বুধবার সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এসময় নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য। ভারত মহাসাগরে প্রতিবেশী দেশের টহল থাকায় তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে, এখন পর্যন্ত অপহরণের ঘটনায় কোন মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। অপহরণ হওয়া নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।

জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এস আর শিপিং। এজন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

এস আর শিপিংয়ের মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ পরিচালনা করছি। তারা আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল জাহাজ মণি নামের একই প্রতিষ্ঠানের আরেক জাহাজ। সেসময় ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। একশ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাবিকদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

ভারত মহাসাগরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের যেকোন মূল্যে সুস্থ ফেরত আনতে কাজ করেছে সরকার। বুধবার সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এসময় নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য। ভারত মহাসাগরে প্রতিবেশী দেশের টহল থাকায় তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে, এখন পর্যন্ত অপহরণের ঘটনায় কোন মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। অপহরণ হওয়া নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।

জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এস আর শিপিং। এজন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

এস আর শিপিংয়ের মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ পরিচালনা করছি। তারা আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল জাহাজ মণি নামের একই প্রতিষ্ঠানের আরেক জাহাজ। সেসময় ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। একশ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।