ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, বিশ্বমানবতা কোথায়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই নিপীড়িতদের পক্ষে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়?

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। এর আগে একই দিন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।

আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আমাদের দেশের শিশুদের বেড়ে উঠার সব পথ তৈরি করে দিয়েছে। যার ফলে এখন ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায়। তিনি জানান, শিশুকাল থেকেই যাতে দেশের নাগরিকেরা প্রযুক্তিগত শিক্ষা পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাঁর সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কতগুলো শিক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে রাস্তা পারাপার, রাস্তার নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং অপচয় বন্ধ করার শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই তাদেরকে মানুষের মত মানুষ এবং সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যাবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছল মেধাবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, বিশ্বমানবতা কোথায়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:২৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই নিপীড়িতদের পক্ষে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়?

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। এর আগে একই দিন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।

আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আমাদের দেশের শিশুদের বেড়ে উঠার সব পথ তৈরি করে দিয়েছে। যার ফলে এখন ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায়। তিনি জানান, শিশুকাল থেকেই যাতে দেশের নাগরিকেরা প্রযুক্তিগত শিক্ষা পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাঁর সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কতগুলো শিক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে রাস্তা পারাপার, রাস্তার নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং অপচয় বন্ধ করার শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই তাদেরকে মানুষের মত মানুষ এবং সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যাবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছল মেধাবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।