আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সাকিব চলে যায়: মেজর হাফিজ
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, ‘সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা জানায়। কিন্তু আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়।’
রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর হাফিজ এসব কথা বলেন।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের ছবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত নোংরা। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। এখানে নানা ধরনের কলাকৌশল করা হয়। যে দলই ক্ষমতায় থাকে তারা প্রতিপক্ষকে নানান নির্যাতন করে। সেখান থেকে কিছু লোক বাগিয়ে এনে নিজের দলে কিংবা অন্যদলে সন্নিবেশ করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চায়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট জানতে অনেক জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভোটের কয়েক মাস আগে দু-তিনজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমাকে পরামর্শ দেয় নতুন দল করার। সরকারের পক্ষ থেকেও কয়েকজন ভেবেছিল যে, আমি বিএনপি ছাড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
সাকিব নিজে থেকে বিএনএমে যোগ দিতে আসেন বলে জানান মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা আমার কাছে নিয়ে আসেন সাকিব আল হাসানকে। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তাকে বিএনএমের দুজন কর্মকর্তা আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি বলেছি রাজনীতি করা তোমার বিষয়, তুমি এখনো খেলাধুলা করছো, রাজনীতি করবে কিনা ভেবে দেখো। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এই ঘটনা নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগের।
তিনি আরও বলেন, একটা মিথ্যা কথা রচনা করেছে, এতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। দেশে কত অপকর্ম করে যাচ্ছে সরকার, একতরফা ডামি নির্বাচন করলো, এ ব্যাপারে তো পত্রিকায় কিছু দেখি না। দেশে ব্যাংকিং খাতে লুটপাট চলছে কয়েক বছর ধরে, এসব নিয়ে কোনো রিপোর্ট দেখি না। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কেন কূলকিনারা হচ্ছে না, তা নিয়েও যেসব পত্রিকা আমার বিষেদাগার করে এখানেও কোনো কিছু দেখি না।
আমার মনে হয়, সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম লুকিয়ে রেখে, জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র নিতে আমার বিরুদ্ধে এই বিএনএম সৃষ্টির কাল্পনিক কাহিনীর অবতারণা চালানো হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে কাউকে পাঠাই নাই।