ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২০২৩ সালে বায়ুদূষণে শীর্ষে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত—দক্ষিণ এশিয়ার এই তিন দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়েছে। বায়ুমানের দিক থেকে তলানিতে এই তিন দেশ। সম্প্রতি বায়ুদূষণ নিয়ে ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।

আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের বাতাসে গত বছর যে পরিমাণ দূষিত কণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার।

বায়ুদূষণে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। এর আগে ২০২২ সালে এ তালিকায় নিচের দিক থেকে পঞ্চম ছিল বাংলাদেশ। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০২২ সালে ভারতের অবস্থান ছিল নিচের দিক থেকে অষ্টম।

আইকিউএয়ার বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯.৯০ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩.৭০ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি থাকা উচিত না।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার বলেন, ‘জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই তিন দেশে পিএম-২.৫ এর ঘনত্ব এত বেশি। আরেকটি বড় কারণ দূষিত পদার্থের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকা। কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্বও দূষণের কারণ।’

এ নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ফিরোজ খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশে অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশই হয় বায়ুদূষণজনিত রোগ। এসব রোগের চিকিৎসায় জিডিপির অন্তত ৪–৫ শতাংশ ব্যয় হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৩ সালে বায়ুদূষণে শীর্ষে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৭:০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত—দক্ষিণ এশিয়ার এই তিন দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়েছে। বায়ুমানের দিক থেকে তলানিতে এই তিন দেশ। সম্প্রতি বায়ুদূষণ নিয়ে ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।

আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের বাতাসে গত বছর যে পরিমাণ দূষিত কণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার।

বায়ুদূষণে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। এর আগে ২০২২ সালে এ তালিকায় নিচের দিক থেকে পঞ্চম ছিল বাংলাদেশ। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০২২ সালে ভারতের অবস্থান ছিল নিচের দিক থেকে অষ্টম।

আইকিউএয়ার বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯.৯০ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩.৭০ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি থাকা উচিত না।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার বলেন, ‘জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই তিন দেশে পিএম-২.৫ এর ঘনত্ব এত বেশি। আরেকটি বড় কারণ দূষিত পদার্থের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকা। কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্বও দূষণের কারণ।’

এ নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ফিরোজ খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশে অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশই হয় বায়ুদূষণজনিত রোগ। এসব রোগের চিকিৎসায় জিডিপির অন্তত ৪–৫ শতাংশ ব্যয় হয়।