সংসদের ২৪তম অধিবেশন সমাপ্ত
- আপডেট সময় : ০৫:১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম ও ২০২৩ সালের চতুর্থ অধিবেশন শেষ হয়েছে। অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু আজ চলতি অধিবেশন সমাপ্তির ঘোষণা দেন।
এর আগে ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্ট উদ্বোধন উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণের অডিও শুনানো হয়। ১৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের এই ভাষণটি বাংলাদেশ বেতার থেকে সংগ্রহ করা হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ কার্যদিবস পর্যন্ত অধিবেশন চলার পর আজ ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হয়। এ অধিবেশনে ১৮টি বিল পাস হয়। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ২৩টি নোটিশ পাওয়া গেছে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে কোন নোটিশ গ্রহণ বা আলোচিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ২৫টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, তারমধ্যে তিনি ১১টি প্রশ্নের উত্তর দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য প্রাপ্ত মোট ৭৩৯টি প্রশ্নের মধ্যে মন্ত্রীরা ৫২৬টি প্রশ্নের জবাব দেন। এ অধিবেশনে ৩০টি স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপিত হয়েছে। স্থায়ী কমিটির বিলের রিপোর্ট উত্থাপন হয়েছে ১৭টি। এছাড়া ৩টি কমিটি পুনর্গঠন হয়েছে।
অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে ডেপুটি স্পিকার বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে। একটি কল্যাণকামী উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সব প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আপনারা আপনাদের বক্তব্য প্রদান করেছেন- যা সংসদীয় কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করেছে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের অঙ্গীকার। আশা করি এ লক্ষ্যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও উন্নয়নের মত মৌলিক বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।’
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ দেশের যে অঞ্চলেই বসবাস করুক না কেন, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সমতার ভিত্তিতে পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ মেট্রোরেল, স্ব-অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ও মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের সফলতার জয়যাত্রায় যুক্ত করেছে অনন্য মাইলফলক।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে এক রোল মডেল। আমাদের মাতৃভূমিকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ উচ্চ অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংসদ সদস্যবৃন্দ অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং সেটি অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের।