ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সুখী দেশের তালিকায় পেছালো বাংলাদেশ, শীর্ষে ফিনল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর এই তালিকায় শীর্ষ ১০০ এর মধ্যে নেই বাংলাদেশ। তালিকায় টানা ৭ বছর ধরে শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড।

জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় করা সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। এরপরই রয়েছে আরও তিনটি দেশ। সেগুলো হলো যথাক্রমে-ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন। সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পিছিয়েছে ১১ ধাপ। তালিকায় একেবারে তলানিতে আফগানিস্তান।

২০২৪ সালের এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম । গত বছর এ অবস্থান ছিলো ১১৮। সে হিসাবে বাংলাদেশ এবার ১১ ধাপ পিছিয়েছে। গতবারের আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বাংলাদেশ ছিলো তালিকার ৯৪ নম্বরে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে নেপাল রয়েছে ৯৩তম, পাকিস্তান ১০৮তম, মিয়ানমার ১১৮তম, ভারত ১২৬তম ও শ্রীলঙ্কা ১২৮তম, আফগানিস্তান ১৪৩তম অবস্থানে।

এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে কুয়েত (১৩)। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান (১৪৩)। এ তালিকায় এবারই প্রথম শীর্ষ ২০-এর মধ্যে নেই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। এই দেশগুলোর অবস্থান যথাক্রমে ২৩ ও ২৪।

তালিকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থান ১০৬। আর রাশিয়ার অবস্থান ৭২। এ প্রতিবেদনে সবচেয়ে সুখী দেশ নির্ধারণের জন্য ৬টি সূচক যাচাই করা হয়। এই সূচকগুলো হলো—মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সহায়তা, আয়ু, স্বাধীনতা, বদান্যতা, দুর্নীতি নিয়ে মনোভাব।

এ প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক প্রতি বছর প্রকাশ করে থাকে। বিশ্বের ১৪৩টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। অংশগ্রহণকারী মানুষদের আগের ৩ বছর (এবারের প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ২০২১-২০২৩) তাদের জীবন কেমন কেটেছে–তা মূল্যায়ন করা হয়েছে।

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেনিফার ডি পাওলা এএফপিকে বলেন, ‘প্রকৃতির সাথে ফিনল্যান্ডের মানুষের ঘনিষ্ঠ সংযোগ এবং স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্য তাদের জীবনের সন্তুষ্টিতে মূল অবদান রাখে।’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই এ দিনকে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সুখ ও ভালো থাকার বিষয়টিতে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি।প্রতিবছর এ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’।

এ বছরের তালিকায় যথারীতি উপরের দিকে রয়েছে নরডিক অঞ্চলের দেশগুলো। প্রথম পাঁচটি সুখী দেশের মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চলের আরও তিনটি দেশ ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন। এসব দেশের অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ। এ ছাড়া সুখী দেশ হিসেবে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ইসরায়েলের নাম।

নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তালিকার যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে।

এক দশকের বেশি আগে থেকে সুখী দেশ নিয়ে এমন তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু এবারই প্রথম বিশ্বের অন্যতম ধনী ও সমৃদ্ধ দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি প্রথম ২০টি সুখী দেশের তালিকায় স্থান পায়নি। এ বছর দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ২৩তম ও ২৪তম।

সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়। সূত্র: দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

সুখী দেশের তালিকায় পেছালো বাংলাদেশ, শীর্ষে ফিনল্যান্ড

আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর এই তালিকায় শীর্ষ ১০০ এর মধ্যে নেই বাংলাদেশ। তালিকায় টানা ৭ বছর ধরে শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড।

জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় করা সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। এরপরই রয়েছে আরও তিনটি দেশ। সেগুলো হলো যথাক্রমে-ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন। সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পিছিয়েছে ১১ ধাপ। তালিকায় একেবারে তলানিতে আফগানিস্তান।

২০২৪ সালের এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম । গত বছর এ অবস্থান ছিলো ১১৮। সে হিসাবে বাংলাদেশ এবার ১১ ধাপ পিছিয়েছে। গতবারের আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বাংলাদেশ ছিলো তালিকার ৯৪ নম্বরে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে নেপাল রয়েছে ৯৩তম, পাকিস্তান ১০৮তম, মিয়ানমার ১১৮তম, ভারত ১২৬তম ও শ্রীলঙ্কা ১২৮তম, আফগানিস্তান ১৪৩তম অবস্থানে।

এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে কুয়েত (১৩)। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান (১৪৩)। এ তালিকায় এবারই প্রথম শীর্ষ ২০-এর মধ্যে নেই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। এই দেশগুলোর অবস্থান যথাক্রমে ২৩ ও ২৪।

তালিকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থান ১০৬। আর রাশিয়ার অবস্থান ৭২। এ প্রতিবেদনে সবচেয়ে সুখী দেশ নির্ধারণের জন্য ৬টি সূচক যাচাই করা হয়। এই সূচকগুলো হলো—মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সহায়তা, আয়ু, স্বাধীনতা, বদান্যতা, দুর্নীতি নিয়ে মনোভাব।

এ প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক প্রতি বছর প্রকাশ করে থাকে। বিশ্বের ১৪৩টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। অংশগ্রহণকারী মানুষদের আগের ৩ বছর (এবারের প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ২০২১-২০২৩) তাদের জীবন কেমন কেটেছে–তা মূল্যায়ন করা হয়েছে।

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেনিফার ডি পাওলা এএফপিকে বলেন, ‘প্রকৃতির সাথে ফিনল্যান্ডের মানুষের ঘনিষ্ঠ সংযোগ এবং স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্য তাদের জীবনের সন্তুষ্টিতে মূল অবদান রাখে।’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই এ দিনকে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সুখ ও ভালো থাকার বিষয়টিতে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি।প্রতিবছর এ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’।

এ বছরের তালিকায় যথারীতি উপরের দিকে রয়েছে নরডিক অঞ্চলের দেশগুলো। প্রথম পাঁচটি সুখী দেশের মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চলের আরও তিনটি দেশ ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন। এসব দেশের অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ। এ ছাড়া সুখী দেশ হিসেবে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ইসরায়েলের নাম।

নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তালিকার যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে।

এক দশকের বেশি আগে থেকে সুখী দেশ নিয়ে এমন তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু এবারই প্রথম বিশ্বের অন্যতম ধনী ও সমৃদ্ধ দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি প্রথম ২০টি সুখী দেশের তালিকায় স্থান পায়নি। এ বছর দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ২৩তম ও ২৪তম।

সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়। সূত্র: দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট