চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব নয়, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: কাদের
- আপডেট সময় : ০৪:২৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব নয়, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমেরিকায়ও দুর্নীতি হয়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সড়ক পথে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবহন নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এই কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে দুর্ভাবনার শেষ নেই। রাজধানীর ভেতরে গণপরিবহনগুলোর দিকে তাকানো যায় না। এর থেকে মফস্বলের গাড়িগুলো অনেক উন্নত। রঙ দিয়ে গাড়ি না চালিয়ে, ফিটনেস নিশ্চিত করার জন্য বিআরটিএ এবং হাইওয়ে পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের সময় কিছুটা যানজট হবে। একদম যানজট মুক্ত দাবি করা সমীচীন নয়। হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে না পারলে কোন ভালো সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। ঈদে দুই জায়গা ঠিক করলে সব ঠিক। হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ঢাকায় নির্বিঘ্নে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে এবং গাজীপুর সড়কে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, হাইওয়েতে ৩ চাকার গাড়ি এখনও চলছে। এতে অনেকের প্রাণহানি হয়।
ঢাকার লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি আমাদের খুব লজ্জা দেয়
রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসে এবং আমাদের লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি দেখে, তখন আমাদের খুব লজ্জা হয়। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পরিবহন মালিকদের এদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ঢাকার বাইরে থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ঢাকায় ঢোকে। আমি তো বলব বাইরে থেকে সিটিতে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি কম আসে। বরং সিটিতেই অনেক লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির কারখানা আছে। আমি সেগুলো নিজের চোখে গিয়ে দেখেছি। ঈদের আগে সেগুলোতে রং লাগাতে দেখেছি, যে রং আবার ১০ দিনও থাকে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, পুলিশের আইজিপিসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।