ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তীব্র ঠাণ্ডায় মঙ্গোলিয়ায় মারা গেছে প্রায় ৫০ লাখ প্রাণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবারের শীত মৌসুমে তীব্র ঠাণ্ডায় মঙ্গোলিয়ায় ৪৭ লাখের বেশি প্রাণী মারা গেছে। দেশটিতে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রচণ্ড শীত থাকে। এমনকি কিছু এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

মঙ্গোলিয়ার সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের শেষে ভেড়া, ছাগল, ঘোড়া এবং গরুসহ এ ধরণের ৬ কোটি ৪৭ লাখ প্রাণী ছিল।
তাপমাত্রা অতিরিক্ত নেমে গেলে বিপুল সংখ্যক গবাদিপশুর মৃত্যু হয়।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর শীত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তীব্র ছিল। স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে কম তাপমাত্রা ও ভারী তুষারপাত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা অতিরিক্ত নেমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এমন আবহাওয়া ‘জুড’ নামে পরিচিত। মঙ্গোলিয়া গত এক দশকে ছয়টি জুডের সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে ২০২২-২৩ সালের শীতকালসহ অন্তত ৪৪ লাখ পশু মারা গেছে।

জাতিসংঘ বলছে, মঙ্গোলিয়ার ৭০ শতাংশ মানুষ ‘জুড’ কিংবা এর কাছাকাছি পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। যা আগের বছর ছিল অন্তত ১৭ শতাংশ।

২০১০-১১ সালের শীতকালেও ভয়াবহ জুডের কবলে এক কোটির বেশি প্রাণী মারা গিয়েছিল। যা ওই সময়ে দেশের মোট পশু সম্পদের প্রায় এক চতুর্থাংশ।

মঙ্গোলিয়া বিশ্বের সবচেয়ে কম জনবহুল দেশের মধ্যে একটি। দেশটির ৩৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যাযাবর।

মঙ্গোলিয়া সরকার কৃষকদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরই মধ্যে পশুপালকদের খড় সরবরাহ করার জন্য একটি প্রচারাভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে আবহাওয়ার উন্নতি না হলে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র ঠাণ্ডায় মঙ্গোলিয়ায় মারা গেছে প্রায় ৫০ লাখ প্রাণী

আপডেট সময় : ০২:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

এবারের শীত মৌসুমে তীব্র ঠাণ্ডায় মঙ্গোলিয়ায় ৪৭ লাখের বেশি প্রাণী মারা গেছে। দেশটিতে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রচণ্ড শীত থাকে। এমনকি কিছু এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

মঙ্গোলিয়ার সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের শেষে ভেড়া, ছাগল, ঘোড়া এবং গরুসহ এ ধরণের ৬ কোটি ৪৭ লাখ প্রাণী ছিল।
তাপমাত্রা অতিরিক্ত নেমে গেলে বিপুল সংখ্যক গবাদিপশুর মৃত্যু হয়।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর শীত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তীব্র ছিল। স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে কম তাপমাত্রা ও ভারী তুষারপাত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা অতিরিক্ত নেমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এমন আবহাওয়া ‘জুড’ নামে পরিচিত। মঙ্গোলিয়া গত এক দশকে ছয়টি জুডের সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে ২০২২-২৩ সালের শীতকালসহ অন্তত ৪৪ লাখ পশু মারা গেছে।

জাতিসংঘ বলছে, মঙ্গোলিয়ার ৭০ শতাংশ মানুষ ‘জুড’ কিংবা এর কাছাকাছি পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। যা আগের বছর ছিল অন্তত ১৭ শতাংশ।

২০১০-১১ সালের শীতকালেও ভয়াবহ জুডের কবলে এক কোটির বেশি প্রাণী মারা গিয়েছিল। যা ওই সময়ে দেশের মোট পশু সম্পদের প্রায় এক চতুর্থাংশ।

মঙ্গোলিয়া বিশ্বের সবচেয়ে কম জনবহুল দেশের মধ্যে একটি। দেশটির ৩৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যাযাবর।

মঙ্গোলিয়া সরকার কৃষকদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরই মধ্যে পশুপালকদের খড় সরবরাহ করার জন্য একটি প্রচারাভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে আবহাওয়ার উন্নতি না হলে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়বে।