০১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও ব্যর্থ গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব পাস হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি আবারও ব্যর্থ হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানিয়েছে, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল গায়ানা।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সে আলোচনায় অংশ নেয়নি ইসরায়েল।

তখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসিম নাইম বলেছিলেন, আলোচনা চলার সময় তাঁরা তাঁদের প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে উত্থাপন করেছেন এবং ইসরায়েলের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

কিন্তু ইসরায়েল দাবি করেছে, যেসব জীবিত এবং মৃত জিম্মি এখনো গাজায় আছেন তাদের তালিকা দিতে হবে। তবে যুদ্ধবিরতি ছাড়া এটি অসম্ভব বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র। কারণ হিসেবে নাইম বলেছেন, ‘জিম্মিরা গাজায় বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর তারা একাধিক গ্রুপের হাতে আটক রয়েছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানায় ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৬৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

আবারও ব্যর্থ গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা

আপডেট : ১০:৪১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব পাস হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি আবারও ব্যর্থ হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানিয়েছে, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল গায়ানা।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সে আলোচনায় অংশ নেয়নি ইসরায়েল।

তখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসিম নাইম বলেছিলেন, আলোচনা চলার সময় তাঁরা তাঁদের প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে উত্থাপন করেছেন এবং ইসরায়েলের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

কিন্তু ইসরায়েল দাবি করেছে, যেসব জীবিত এবং মৃত জিম্মি এখনো গাজায় আছেন তাদের তালিকা দিতে হবে। তবে যুদ্ধবিরতি ছাড়া এটি অসম্ভব বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র। কারণ হিসেবে নাইম বলেছেন, ‘জিম্মিরা গাজায় বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর তারা একাধিক গ্রুপের হাতে আটক রয়েছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানায় ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৬৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।