মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ : ফখরুল
- আপডেট সময় : ০৪:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
- / ৪০০ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কোনো বিতর্ক হতে পারে না। যারা বিতর্ক করছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের শক্তি না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।
তিনি বলেন, ৭ই জানুয়ারি দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নিজেরা সাম্প্রদায়িক শক্তি, গোষ্ঠী তৈরি করছে। তাদের মুখে সাম্প্রদায়িকতার কথা মানায় না। গোটা দেশকে তারা গিলে ফেলেছে। এ থেকে মুক্তি পেতে বিএনপি সংগ্রাম করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছিল, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল—প্রত্যেকের লক্ষ্য ছিল এক, সেটি হলো গণতন্ত্র। এ সরকার ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিয়ে কোনো কাজ করেনি, বরং ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচনকে ব্যবহার করেছে। এমনকি, যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদেরকে জেলে পুড়েছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশটা দুটা ভাগে ভাগ করেছে সরকার। একটি হলো আওয়ামী লীগ, আর একটি বিরোধী দল। শুধু তা-ই নয়, বর্ণবাদ সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘর, দোকান ও ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এসেছিল। গণতন্ত্রের জন্য যা কিছু হয়েছে, তা আমাদের নেতা আর নেত্রীর হাত ধরে হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থাকে আজ তছনছ করে দিয়েছে এরা, বিচারের বাণী আজ নিভৃতে কাঁদে। একটা জায়গাতেও ন্যায় বিচার নেই।’
তরুণদেরকে আরও শক্তভাবে জেগে উঠতে হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের একমাত্র কাজ মানুষকে জাগিয়ে তোলা। সংগঠিত করা। এরমধ্য দিয়ে ১৫ বছর ধরে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, তার পতন নিশ্চিত করা। সংগ্রাম ও আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ আরও অনেকে।