০১:৪৮ অপরাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ‍নিয়ে আলোচনা আবারও শুরু আজ

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে আবারও আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ রোববার (৩১ মার্চ)। মিসরের গণমাধ্যমগুলো এই সংবাদ দিয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে গাজা যুদ্ধের অবসানে প্রথমবারের মতো নেওয়া উদ্যোগের পর নতুন করে এই আলোচনা শুরু হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

এর আগে মিসর, কাতার ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েকদফা আলোচনা চলে। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাক্সিক্ষত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্যে ইসরায়েল ও হামাস একে অন্যকে দোষারোপ করে আসছে।

দোহা ও কায়রোয় নতুন করে আলোচনা শুরুর বিষয়ে নেতানিয়াহু শুক্রবার অনুমোদন দেন। এর আগে তিনি মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার সাথে কথা বলেন। তবে তাদের মাঝে কি আলোচনা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে হাজারো ইসরায়েলি নাগরিক। অনেক ইসরায়েলি নেতানিয়াহুকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রধান বাধা বলে মনে করেন। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি পণবন্দিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। বিক্ষোভে পণবন্দিদের নিকট আত্মীয়রাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আলোচনায় যোগ দিতে ইসরায়েল একটি প্রতিনিধি দল কায়রোতে পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে হামাস কর্মকর্তারা বলেন, দলটি কায়রোর মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে প্রথমে বৈঠকে বসবে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস কায়রো ও দোহায় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওই দলটিকে অনুমোদন দিয়েছে।

মধ্যস্থতাকারী দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র খুবই আশাবাদী, এবারের আলোচনায় একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে।

হামাস চুক্তির অংশ হিসেবে যুদ্ধের সমাপ্তি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহার চায়। তবে ইসরায়েল এই দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই থামবে না।

গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫০জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এর মধ্যে কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখনও ১৩০ জিম্মি গাজায় আটক এবং এদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েল ধারনা করছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়ে বলেছে, নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ‍নিয়ে আলোচনা আবারও শুরু আজ

আপডেট : ০১:১৫:৫২ অপরাহ্ন, রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে আবারও আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ রোববার (৩১ মার্চ)। মিসরের গণমাধ্যমগুলো এই সংবাদ দিয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে গাজা যুদ্ধের অবসানে প্রথমবারের মতো নেওয়া উদ্যোগের পর নতুন করে এই আলোচনা শুরু হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

এর আগে মিসর, কাতার ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েকদফা আলোচনা চলে। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাক্সিক্ষত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্যে ইসরায়েল ও হামাস একে অন্যকে দোষারোপ করে আসছে।

দোহা ও কায়রোয় নতুন করে আলোচনা শুরুর বিষয়ে নেতানিয়াহু শুক্রবার অনুমোদন দেন। এর আগে তিনি মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার সাথে কথা বলেন। তবে তাদের মাঝে কি আলোচনা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে হাজারো ইসরায়েলি নাগরিক। অনেক ইসরায়েলি নেতানিয়াহুকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রধান বাধা বলে মনে করেন। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি পণবন্দিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। বিক্ষোভে পণবন্দিদের নিকট আত্মীয়রাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আলোচনায় যোগ দিতে ইসরায়েল একটি প্রতিনিধি দল কায়রোতে পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে হামাস কর্মকর্তারা বলেন, দলটি কায়রোর মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে প্রথমে বৈঠকে বসবে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস কায়রো ও দোহায় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওই দলটিকে অনুমোদন দিয়েছে।

মধ্যস্থতাকারী দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র খুবই আশাবাদী, এবারের আলোচনায় একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে।

হামাস চুক্তির অংশ হিসেবে যুদ্ধের সমাপ্তি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহার চায়। তবে ইসরায়েল এই দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই থামবে না।

গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫০জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এর মধ্যে কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখনও ১৩০ জিম্মি গাজায় আটক এবং এদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েল ধারনা করছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়ে বলেছে, নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।