ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

ফিলিপাইনে ‘হুপিং কাশি’ রোগের সংক্রমণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৯০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেশি দেশ ফিলিপাইনে মহামারি আকার ধারণ করেছে সংক্রামক রোগ ‘হুপিং কাশি’। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগের সংক্রমণ। আক্রান্ত রোগীর বেশিরভাগ নবজাতক ও শিশু। তাই সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেশটির চিকিৎসকদের।

দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ‘কুউজন সিটিতে’ গেল ২১ মার্চ একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শহরটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দ্রুতগতিতে বাড়ছে হুপিং কাশির সংক্রমণ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নবজাতক ও শিশু। আর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নিহতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা চিকিৎসকদের।

মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. রোলান্ডু ক্রুজ বলেন, ‘নজিরবিহীনভাবে হুপিং কাশি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গেল বছর এই সময়ে এ রোগে আক্রান্ত কোন রোগী ছিল না। এরইমধ্যে ৪জন মারা গেছে।’

সাধারণত ‘বরডাটেলা পারটুসিস’ নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার জন্যই হুপিং কাশি হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ। হাচি ও কাশির মাধ্যমে সহজেই একজন থেকে আরেকজন আক্রান্ত হয় এ রোগে। তাই হাচি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের এ বিষয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকরা।

স্থানীয়রা ভাষায়, ভয়াবহ পরিস্থিতি। আত্মীয়-স্বজন যারাই বাড়িতে রয়েছেন, শিশুদের কাছে যেতে দেয়া হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবহার করছি। এ যেন ফের কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছি।

হুপিং কাশির লক্ষণগুলো সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক লক্ষণ সর্দি, নাক বন্ধ, জ্বর ও কাশি। যদিও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিপাইনে ‘হুপিং কাশি’ রোগের সংক্রমণ

আপডেট সময় : ০১:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

প্রতিবেশি দেশ ফিলিপাইনে মহামারি আকার ধারণ করেছে সংক্রামক রোগ ‘হুপিং কাশি’। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগের সংক্রমণ। আক্রান্ত রোগীর বেশিরভাগ নবজাতক ও শিশু। তাই সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেশটির চিকিৎসকদের।

দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ‘কুউজন সিটিতে’ গেল ২১ মার্চ একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শহরটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দ্রুতগতিতে বাড়ছে হুপিং কাশির সংক্রমণ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নবজাতক ও শিশু। আর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নিহতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা চিকিৎসকদের।

মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. রোলান্ডু ক্রুজ বলেন, ‘নজিরবিহীনভাবে হুপিং কাশি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গেল বছর এই সময়ে এ রোগে আক্রান্ত কোন রোগী ছিল না। এরইমধ্যে ৪জন মারা গেছে।’

সাধারণত ‘বরডাটেলা পারটুসিস’ নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার জন্যই হুপিং কাশি হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ। হাচি ও কাশির মাধ্যমে সহজেই একজন থেকে আরেকজন আক্রান্ত হয় এ রোগে। তাই হাচি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের এ বিষয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকরা।

স্থানীয়রা ভাষায়, ভয়াবহ পরিস্থিতি। আত্মীয়-স্বজন যারাই বাড়িতে রয়েছেন, শিশুদের কাছে যেতে দেয়া হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবহার করছি। এ যেন ফের কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছি।

হুপিং কাশির লক্ষণগুলো সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক লক্ষণ সর্দি, নাক বন্ধ, জ্বর ও কাশি। যদিও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।