ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি করার পরিবেশ নেই: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি করার পরিবেশ নেই। সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্ররাজনীতি চাই, আমরাও ছাত্ররাজনীতি করে এ পর্যন্ত এসেছি। ছাত্ররাজনীতি তো বাধা না। একটি শিক্ষাঙ্গনে একদলীয় ছাত্রসংগঠন, তাদের নানা ধরনের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন-অত্যাচার, ভিন্নমতের ছাত্রসংগঠনকে থাকতে না দেওয়া এবং নৃশংসভাবে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে শুধু ছাত্ররা না, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে ওঠে। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন থাকবে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা এখনো বলবৎ আছে কি না, সেই আশঙ্কা আছে কি না- সার্বিক দিক বিবেচনা করে বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না।

তিনি বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার স্বার্থে রাজনীতি বিরত রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।

গয়েশ্বর বলেন, আমি মনে করি বুয়েটের চেয়েও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছিল ছাত্রলীগ নেতা মানিক। এর চেয়ে ঘৃণ্য আর কী হতে পারে? আসলে তারা কোনো কলঙ্কে কলঙ্কিত না! আমরা যতই তাদের কলঙ্কিত মনে করি, তারা তত অলংকৃত হয়। এর একটি কারণ পেশিশক্তির ব্যবহার এবং প্রশাসনের দলীয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি ধ্বংস করা। এখন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আছে কি না সন্দেহ আছে। কিছু দিন পরে বোঝা যাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আদৌ আছে কি না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চলছে। স্বাভাবিক রাজনীতি করা যাচ্ছে না। দমনপীড়ন করেই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। তবে বিএনপি যথাসময়ে নির্যাতন-নিপীড়নের উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি বলেন, বিএনপি ছাত্ররাজনীতি চায়, কিন্তু একদলীয় ছাত্র সংগঠন নয়। বুয়েটে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নির্যাতনে এক সাধারণ ছাত্র মারা গেছেন। তাই জোর করে সেখানে ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না। বুয়েটকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেখানে রাজনীতি উন্মুক্ত হবে কিনা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে সরকার তিলে তিলে বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খালেদা জিয়ার মৃত্যু হবে একটি হত্যাকাণ্ড। সরকার তার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। যেদিন তার মৃত্যু হবে সেদিন আর কোথাও না হলেও গণভবনে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি করার পরিবেশ নেই: গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৪:০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি করার পরিবেশ নেই। সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্ররাজনীতি চাই, আমরাও ছাত্ররাজনীতি করে এ পর্যন্ত এসেছি। ছাত্ররাজনীতি তো বাধা না। একটি শিক্ষাঙ্গনে একদলীয় ছাত্রসংগঠন, তাদের নানা ধরনের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন-অত্যাচার, ভিন্নমতের ছাত্রসংগঠনকে থাকতে না দেওয়া এবং নৃশংসভাবে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে শুধু ছাত্ররা না, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে ওঠে। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন থাকবে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা এখনো বলবৎ আছে কি না, সেই আশঙ্কা আছে কি না- সার্বিক দিক বিবেচনা করে বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না।

তিনি বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার স্বার্থে রাজনীতি বিরত রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।

গয়েশ্বর বলেন, আমি মনে করি বুয়েটের চেয়েও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছিল ছাত্রলীগ নেতা মানিক। এর চেয়ে ঘৃণ্য আর কী হতে পারে? আসলে তারা কোনো কলঙ্কে কলঙ্কিত না! আমরা যতই তাদের কলঙ্কিত মনে করি, তারা তত অলংকৃত হয়। এর একটি কারণ পেশিশক্তির ব্যবহার এবং প্রশাসনের দলীয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি ধ্বংস করা। এখন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আছে কি না সন্দেহ আছে। কিছু দিন পরে বোঝা যাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আদৌ আছে কি না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চলছে। স্বাভাবিক রাজনীতি করা যাচ্ছে না। দমনপীড়ন করেই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। তবে বিএনপি যথাসময়ে নির্যাতন-নিপীড়নের উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি বলেন, বিএনপি ছাত্ররাজনীতি চায়, কিন্তু একদলীয় ছাত্র সংগঠন নয়। বুয়েটে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নির্যাতনে এক সাধারণ ছাত্র মারা গেছেন। তাই জোর করে সেখানে ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না। বুয়েটকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেখানে রাজনীতি উন্মুক্ত হবে কিনা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে সরকার তিলে তিলে বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খালেদা জিয়ার মৃত্যু হবে একটি হত্যাকাণ্ড। সরকার তার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। যেদিন তার মৃত্যু হবে সেদিন আর কোথাও না হলেও গণভবনে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।