গাজার বিধ্বস্ত খান ইউনিসে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা
- আপডেট সময় : ০২:১০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে গত কয়েক মাস ধরে অবস্থানের পর ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় ফিলিস্তিনিরা ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া তাদের বাড়িঘরগুলোতে ফিরতে শুরু করেছেন। খবর এএফপির।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্ত বলেছেন, গাজা থেকে রোববার ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আর এই কাজটি করা হয়েছে ভবিষ্যতে সামরিক অভিযানের কথা চিন্তা করেই। বিশেষ করে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে অভিযান চালানোর জন্য।
এদিকে, গাজায় মানবিক সাহায্যপণ্য নিয়ে প্রবেশের জন্য ৩২২টি ট্রাককে কারেম আবু সালেম ও রাফাহ ক্রসিং অতিক্রমের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এসব ট্রাকে রয়েছে পানি, চিনি, আটাসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্য, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন খুবই প্রয়োজন। তবে এসব ট্রাকের কোনোটিকেই গাজার উত্তর অংশে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মানবিক সাহায্যবাহী ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করত। আর এর অর্থ হলো এখন যে হারে ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তা সেখানকার অধিবাসীদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে না। বিশেষ করে, গাজার উত্তর অংশে যারা আটকা পড়েছেন, তারা ভীষণ পুষ্টিহীনতায় ভুগলেও সেখানে সহায়তা সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, মিসরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল কাহেরা জানিয়েছে, কায়রোতে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছে অংশ নেওয়া পক্ষগুলোর প্রতিনিধিরা।
আল কাহেরার প্রতিবেদন অনুসারে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও কাতারের প্রতিনিধিরা কায়রো থেকে ফিরে গেছেন। তারা দুদিন পরে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে আবারও আলোচনায় যোগ দেবেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও কায়রো ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেটজ এক প্রতিবেদনে জানায়, রোববার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা কায়রোতে আলোচনায় অংশ নেয়, যেখানে হামাসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র নতুন কিছু প্রস্তাব আলোচনায় উত্থাপন করতে যাচ্ছে।