ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুর্বল হয়ে পড়ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। দেশটিতে শান্তি ফেরাতে আলোচনা শুরু করার এটাই ভালো সময় বলে মনে করেন তিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বেশ খানিকটা শক্তি হারিয়েছে। তবে এখনও তারা ক্ষমতায় রয়েছে এবং খুব শিগগির তাদের উচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আঞ্চলিক রাজনীতিতে মিয়ানমারের তৎপরতা প্রত্যাশা করছি। আশা করছি এবার আমরা মিয়ানমারের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব। আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বলছে, এখনই আদর্শ সময়।

গত বছর আগস্টে স্রেথা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছেন। যার মধ্যে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যে একটি মানবিক উদ্যোগের অধীনে মিয়ানমারে সহায়তা প্রদানও রয়েছে।

স্রেথা বলেন, মিয়ানমার থাইল্যান্ডের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এবং অন্যান্য থাই কর্মকর্তারা মিয়ানমারের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। সেইসঙ্গে মিয়ানমারের বিষয়ে তারা চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথেও আলোচনা করেছেন। গত মাসে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়।

গত বছর অক্টোবর থেকে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে হামলা শুরু করে সামরিক বাহিনীর ওপর। এখনও সেই সংঘাত চলছে এবং ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় ১০ শতাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্বল হয়ে পড়ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী

আপডেট সময় : ০১:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। দেশটিতে শান্তি ফেরাতে আলোচনা শুরু করার এটাই ভালো সময় বলে মনে করেন তিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বেশ খানিকটা শক্তি হারিয়েছে। তবে এখনও তারা ক্ষমতায় রয়েছে এবং খুব শিগগির তাদের উচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আঞ্চলিক রাজনীতিতে মিয়ানমারের তৎপরতা প্রত্যাশা করছি। আশা করছি এবার আমরা মিয়ানমারের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব। আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বলছে, এখনই আদর্শ সময়।

গত বছর আগস্টে স্রেথা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছেন। যার মধ্যে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যে একটি মানবিক উদ্যোগের অধীনে মিয়ানমারে সহায়তা প্রদানও রয়েছে।

স্রেথা বলেন, মিয়ানমার থাইল্যান্ডের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এবং অন্যান্য থাই কর্মকর্তারা মিয়ানমারের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। সেইসঙ্গে মিয়ানমারের বিষয়ে তারা চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথেও আলোচনা করেছেন। গত মাসে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়।

গত বছর অক্টোবর থেকে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে হামলা শুরু করে সামরিক বাহিনীর ওপর। এখনও সেই সংঘাত চলছে এবং ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় ১০ শতাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।