০১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোহার হাসপাতালে হানিয়া ছেলেদের মৃত্যুর সংবাদ পান

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ যায় তাদের।

ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুর সংবাদটি পাওয়ার সময় কাতারের রাজধানী দোহার একটি হাসপাতালে ছিলেন হানিয়া। সেখানে যুদ্ধাহত চিকিৎসাধীন ফিলিস্তিনিদের দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। যখন তাকে তার ছেলেদের মৃত্যুর ব্যাপারে অবহিত করা হয় তখন তার সামনে চালু ছিল একটি ক্যামেরা। ওই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তার প্রতিক্রিয়া।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সংবাদটি পাওয়ার পর কিছুটা বিমর্ষ হয়ে যান হানিয়া। তবে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নেন এবং হেসে বলেন, “আল্লাহ তাদের পথকে সহজ করে দিক।” কথাটি বারবার বলতে থাকেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি হামাস প্রধান। আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “শহীদদের রক্ত এবং আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, আমরা ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের মানুষ ও জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তি তৈরি করি।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়।

হামাস প্রধান দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না।

তিনি বলেছেন, “কোনো সন্দেহ নেই এই শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা এবং রক্তপাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং তারা কোনো আইন মানেনা। হানিয়া জানিয়েছেন, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন।

হামাস প্রধান আরও জানিয়েছেন, তার ছেলেদের হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে একটুও সরে আসবে না।

তিনি বলেছেন, “যদি তারা মনে করে আমাদের সন্তানদের লক্ষ্য করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে।”

“ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান।” যোগ করেন হানিয়া।

দোহার হাসপাতালে হানিয়া ছেলেদের মৃত্যুর সংবাদ পান

আপডেট : ০৪:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ যায় তাদের।

ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুর সংবাদটি পাওয়ার সময় কাতারের রাজধানী দোহার একটি হাসপাতালে ছিলেন হানিয়া। সেখানে যুদ্ধাহত চিকিৎসাধীন ফিলিস্তিনিদের দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। যখন তাকে তার ছেলেদের মৃত্যুর ব্যাপারে অবহিত করা হয় তখন তার সামনে চালু ছিল একটি ক্যামেরা। ওই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তার প্রতিক্রিয়া।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সংবাদটি পাওয়ার পর কিছুটা বিমর্ষ হয়ে যান হানিয়া। তবে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নেন এবং হেসে বলেন, “আল্লাহ তাদের পথকে সহজ করে দিক।” কথাটি বারবার বলতে থাকেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি হামাস প্রধান। আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “শহীদদের রক্ত এবং আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, আমরা ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের মানুষ ও জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তি তৈরি করি।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়।

হামাস প্রধান দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না।

তিনি বলেছেন, “কোনো সন্দেহ নেই এই শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা এবং রক্তপাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং তারা কোনো আইন মানেনা। হানিয়া জানিয়েছেন, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন।

হামাস প্রধান আরও জানিয়েছেন, তার ছেলেদের হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে একটুও সরে আসবে না।

তিনি বলেছেন, “যদি তারা মনে করে আমাদের সন্তানদের লক্ষ্য করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে।”

“ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান।” যোগ করেন হানিয়া।