ভয়েস ক্লোনিং প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে
- আপডেট সময় : ০৩:২৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের সহায়তায় শুরু হয়েছে প্রতারণার নতুন কৌশল। এই প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম ভয়েস ক্লোনিং। এর সহায়তায় আত্মীয়-পরিজনের গলার স্বর হুবহু নকল করে অপরাধমূলক কাজ করছে কিছু অসাধু চক্র। এআইয়ের সাহায্যে এই জালিয়াতি এতটাই নিখুঁতভাবে করা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ধরা বলতে গেলে অসম্ভব। আর এভাবে ফাঁদে পড়ছেন অনেকে।
ভয়েস ক্লোনিং কি
এআইয়ের সহায়তায় ভয়েস ক্লোনিংয়ের আরেক নাম হলো ভয়েস সিন্থেসিস বা ভয়েস মিমিক্রি। এই প্রযুক্তিতে এআই ব্যবহার করে যেকোনো ব্যক্তির গলার স্বর নকল করা যায়। এই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন ভয়েস ডেটা এবং যার ভয়েস নকল করা হচ্ছে, তার কণ্ঠস্বর। একাধিক ফ্রি এবং পেইড এআই টুলের সহায়তায় একজনের কণ্ঠ খুব সহজেই অন্যজন নকল করে ফেলছেন। এরপর প্রতারকেরা কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে ফাঁদে ফেলছেন।
ভয়েস ক্লোনিং স্ক্যাম
ভয়েস ক্লোনিং স্ক্যামের ফাঁদে পড়ে অর্থ খোয়াচ্ছেন অনেকে। সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী এমন প্রতারণায় শিকার হয়ে ৮০ হাজার রুপি খুইয়েছেন। ভয়েস ক্লোনিং বা কণ্ঠস্বর নকল করে এমন ফাঁদে ফেলা হয় তাকে। ওই ব্যক্তিকে ফোন করে বলা হয়, দুবাইয়ে ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসি থেকে কল করা হয়েছে। দুবাইয়ে থাকা ওই ব্যক্তির ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে ছাড়াতে অর্থের প্রয়োজন। ভয়েস ক্লোনিং করে ওই ব্যক্তির ছেলের কণ্ঠস্বর নকল করে সাহায্য চাওয়া হয়। কোনোরকম যাচাই না করেই গুগল পে থেকে ওই ব্যবসায়ী ৮০ হাজার রুপি পাঠান।
পরবর্তীতে নিজের ছেলেকে কল দিয়ে জানতে পারেন পুরো ঘটনা প্রতারণা ছিল। ভয়েস ক্লোনিং স্ক্যামের শিকার হয়েছেন তিনি। ছেলের বিপদ শুনে যাচাইয়ের বিষয়টিও মাথায় আসেনি তার।
ভয়েস ক্লোনিং স্ক্যাম থেকে বাঁচবেন যেভাবে
যদি এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে চান, তবে আপনার কোনো ভয়েস নোট অনলাইনে রাখা যাবে না। এ ছাড়া যখনই আপনি এই ধরনের কল পাবেন, তখনই বিশ্বাস না করে, সেই ব্যক্তির আসল নম্বরে কল দিন। এরপর পুরো বিষয়টি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি কেউ ফোন করে আপনার বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন বলে পরিচয় দিয়ে টাকা চায়, তবে আসল ঘটনা যাচাই করতে হবে। একমাত্র সচেতনতাই এমন স্ক্যাম বা প্রতারণা থেকে বাঁচাবে। তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ, টাইমস অব ইন্ডিয়া