ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের শীর্ষ কূটনীতিকের ফোনালাপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ইরানের সমকক্ষের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইরান বলেছে তারা ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো হামলার পর ‘সংযম প্রদর্শন করতে ইচ্ছুক।’

এদিকে ইসরাইল চলতি সপ্তাহে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বড় সংঘাতের আশঙ্কায় বিশ্ব নেতারা উত্তেজনা কমানোর জন্য এ ব্যাপারে সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছেন।

চীন ইরানের ঘনিষ্ঠ ও বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দেশটির অনুমোদিত তেলের শীর্ষ ক্রেতা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাসে তেহরানের ওপর তাদের প্রভাব ব্যবহার করার জন্য চীনের কাছে বারবার আবেদন করেছে। এটি এখন বর্তমানে ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষের কারণে চরম অবস্থায় রয়েছে।

বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, টেলিফোন আলাপকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার বিষয়ে ওয়াংকে অবহিত করেন। তেহরান বলেছে, এর জবাবে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ওয়াংকে বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ‘এই হামলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেয়নি’ এবং ‘ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’

বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি ‘খুবই স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরান ‘সংযম করতে ইচ্ছুক’ এবং উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।

ওয়াং বলেন, চীন ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার ‘তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করে’ এবং এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মনে করছে।

চীন ইরানের হামলাকে প্রতিক্রিয়া হিসাবে এবং এটিকে ‘আত্মরক্ষার’ সীমিত পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের শীর্ষ কূটনীতিকের ফোনালাপ

আপডেট সময় : ০২:২৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ইরানের সমকক্ষের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইরান বলেছে তারা ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো হামলার পর ‘সংযম প্রদর্শন করতে ইচ্ছুক।’

এদিকে ইসরাইল চলতি সপ্তাহে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বড় সংঘাতের আশঙ্কায় বিশ্ব নেতারা উত্তেজনা কমানোর জন্য এ ব্যাপারে সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছেন।

চীন ইরানের ঘনিষ্ঠ ও বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দেশটির অনুমোদিত তেলের শীর্ষ ক্রেতা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাসে তেহরানের ওপর তাদের প্রভাব ব্যবহার করার জন্য চীনের কাছে বারবার আবেদন করেছে। এটি এখন বর্তমানে ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষের কারণে চরম অবস্থায় রয়েছে।

বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, টেলিফোন আলাপকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার বিষয়ে ওয়াংকে অবহিত করেন। তেহরান বলেছে, এর জবাবে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ওয়াংকে বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ‘এই হামলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেয়নি’ এবং ‘ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’

বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি ‘খুবই স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরান ‘সংযম করতে ইচ্ছুক’ এবং উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।

ওয়াং বলেন, চীন ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার ‘তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করে’ এবং এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মনে করছে।

চীন ইরানের হামলাকে প্রতিক্রিয়া হিসাবে এবং এটিকে ‘আত্মরক্ষার’ সীমিত পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে।