ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলায় প্রাণ ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করা ২৮৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয় তাদের।

এর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্য, চারজন সেনাসদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য সহ মোট ২৮৮ জনকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির প্রতিনিধিদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ভোর সাড়ে ৪টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ১০টি বাসে করে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আনা হয়। যেখানে আছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্য আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে গতবার ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাঁটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

এর আগে জাহাজে করে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আসা বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরও ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষংছড়ির বিজিবি স্কুলে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল আরও ৩৩০ জনকে।

এর আগে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা হয় ১৭৪ জন বাংলাদেশি বন্দী।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

আপডেট সময় : ০১:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলায় প্রাণ ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করা ২৮৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয় তাদের।

এর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্য, চারজন সেনাসদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য সহ মোট ২৮৮ জনকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির প্রতিনিধিদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ভোর সাড়ে ৪টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ১০টি বাসে করে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আনা হয়। যেখানে আছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্য আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে গতবার ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাঁটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

এর আগে জাহাজে করে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আসা বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরও ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষংছড়ির বিজিবি স্কুলে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল আরও ৩৩০ জনকে।

এর আগে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা হয় ১৭৪ জন বাংলাদেশি বন্দী।