পিএসজির হার, ফাইনালে এক পা ডর্টমুন্ডের
- আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
- / ৩৮৪ বার পড়া হয়েছে
ম্যাচের অধিকাংশ সময়ে বল দখলের লড়াইয়ে পিএসজি এগিয়ে ছিল। শট নেয়ার সংখ্যাটা দুদলেরই ছিল সমানে সমান। শেষপর্যন্ত অবশ্য ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
এদিন নিজেদের মাঠে ম্যাচের ১৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড। ইউলিয়ান ব্রান্ডের বাড়িয়ে দেয়া পাস কোণ থেকে মারসেল সাবিতজারের আড়াআড়ি গতির শট এগিয়ে এসে ফিরিয়ে দেন পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোন্নারোম্মা। তারপর থেকেই পিএসজি চাপের ওপর থাকে।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া গোল পায় ডর্টমুন্ড। মাঝ মাঠের কিছুটা নিচ থেকে স্কটারব্যাকের দীর্ঘ পাস অফসাইড কাটিয়ে দুর্দান্তভাবে কন্ট্রোলে নেন নিকলাস ফুলক্রুগ, তারপর পিএসজির বক্সে ডুকে সরাসরি বাম পায়ের শটে বল পাঠিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একবার আক্রমণ করে ডর্টমুন্ড। ডি-বক্সের ভেতর থেকে সাবিতজারের ভলি অনেকটা ঝাপ দিয়ে ফিরিয়ে দেন দোন্নারোস্মা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পরই ম্যাচে ছন্দ ফেরানোর সুযোগ ছিল পিএসজির। কিন্তু সেটি হয়ে উঠেনি। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আশরাফ হাকিমির প্রচন্ড চেষ্টা থাকার পরও পোস্ট কেপে ফিরে আসে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে এমবাপ্পে আড়াআড়ি শট করলে সেটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আর সেই ফিরতি বল তার পা থেকে যায় হাকিমির পায়ে। এবারও হতাশ হতে হয়। হাকিমির শট কাছের পোস্ট হওয়ার পরও প্রতিহিত হয়।
এর কিছুক্ষণ পরই আবার হতাশ করেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। গোলরক্ষককে একা পাওয়ার পরও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন এই মিডফিল্ডার। বাইরে চলে যায় তার হেড।
ডর্টমুন্ডও সুযোগ হারায়। জ্যাডন সাঞ্চোর কাটব্যাক ফাকায় পাওয়ার পরও ফুলক্রুগ বল মারেন পোস্টের উপর দিয়ে। শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পান উসমান দেম্বেলে। কিন্তু সেই সযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ম্যাচটিতে হারতে হয় প্যারিসের ক্লাবটির।
ফাইনালে জয় পেতে হলে ফিরতি লেগে পিএসজিকে নিজেদের মাঠে দুই গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করতে হবে। আর ডর্টমুন্ডের হার কাটিয়ে উঠতে পারলেই হবে।