ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বিল আটকে আছে পিডিবিতে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সঞ্চালন কেন্দ্রগুলোর ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিসমূহের বাবিউবোর কাছে ফেব্রুয়ারি-২০২৪ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বিলের বিপরীতে ২৯ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। একই সময়ে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের বাবিউবোর কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বিলের বিপরীতে ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।

তিনি বলেন, যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর বাবিউবোর কাছে একই সময়ে পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিভিন্ন কোম্পানির বাবিউবোর পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সরকার কর্তৃক বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের ব্যাংকের কাছে দায় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকির বিপরীতে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বিল আটকে আছে পিডিবিতে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:১১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সঞ্চালন কেন্দ্রগুলোর ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিসমূহের বাবিউবোর কাছে ফেব্রুয়ারি-২০২৪ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বিলের বিপরীতে ২৯ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। একই সময়ে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের বাবিউবোর কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বিলের বিপরীতে ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।

তিনি বলেন, যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর বাবিউবোর কাছে একই সময়ে পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিভিন্ন কোম্পানির বাবিউবোর পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সরকার কর্তৃক বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের ব্যাংকের কাছে দায় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকির বিপরীতে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।