ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়াতে ২৯৬ এমপিকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • / ৪৮৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির জন্য ২৯৬ জন সংসদ সদস্যকে চিঠি দিয়েছেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ডাম) সভাপতি কাজী রফিকুল আলম।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত শক্তিশালী বাংলাদেশ গঠনে সম্প্রতি প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে আলাদা আলাদা ভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে কাজী রফিকুল আলম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ১৮.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, স্বল্প সময়ে তামাকের এই ব্যবহার হ্রাস সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করলেও বাংলাদেশে এখনও প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন ও ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস্ ২০১৭)।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ডাম) সভাপতি বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে (ট্যোবাকো এ্যাটলাস, ২০২০)। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

চিঠিতে তিনি আরও বলেন, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক পণ্যরে মূল্যবৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। কিন্তু বাংলাদশের বর্তমান তামাক কর কাঠামো তামাক ব্যবহার কমাতে কার্যকর প্রভাব রাখতে পারছে না।

কাজী রফিকুল আলম তার চিঠিতে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধির জন্য ৩টি প্রস্তাবনা রাখেন। সেগুলো হলো-

১। সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ) মূল্যস্তর ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা অর্থাৎ, প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিম্ন স্তরের মূল্য ৬০ টাকা, মধ্যম স্তরের মূল্য ৮০ টাকা, উচ্চ স্তরের মূল্য ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের মূল্য ১৭০ টাকা নির্ধারন করা। অন্যান্য স্তরের মত নিম্ন স্তরের সিগারেটের উপরও ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।

২। ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।

৩। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা ৫৫ টাকা, এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।

আগামী বাজেট অধিবেশনে তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির জন্য সমর্থন দেয়া ও অর্থমন্ত্রীর প্রতি অফিসিয়াল প্রস্তাবনা পত্র (ডিও লেটার) দেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান কাজী রফিকুল আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়াতে ২৯৬ এমপিকে চিঠি

আপডেট সময় : ১১:০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির জন্য ২৯৬ জন সংসদ সদস্যকে চিঠি দিয়েছেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ডাম) সভাপতি কাজী রফিকুল আলম।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত শক্তিশালী বাংলাদেশ গঠনে সম্প্রতি প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে আলাদা আলাদা ভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে কাজী রফিকুল আলম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ১৮.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, স্বল্প সময়ে তামাকের এই ব্যবহার হ্রাস সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করলেও বাংলাদেশে এখনও প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন ও ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস্ ২০১৭)।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ডাম) সভাপতি বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে (ট্যোবাকো এ্যাটলাস, ২০২০)। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

চিঠিতে তিনি আরও বলেন, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক পণ্যরে মূল্যবৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। কিন্তু বাংলাদশের বর্তমান তামাক কর কাঠামো তামাক ব্যবহার কমাতে কার্যকর প্রভাব রাখতে পারছে না।

কাজী রফিকুল আলম তার চিঠিতে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধির জন্য ৩টি প্রস্তাবনা রাখেন। সেগুলো হলো-

১। সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ) মূল্যস্তর ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা অর্থাৎ, প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিম্ন স্তরের মূল্য ৬০ টাকা, মধ্যম স্তরের মূল্য ৮০ টাকা, উচ্চ স্তরের মূল্য ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের মূল্য ১৭০ টাকা নির্ধারন করা। অন্যান্য স্তরের মত নিম্ন স্তরের সিগারেটের উপরও ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।

২। ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।

৩। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা ৫৫ টাকা, এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।

আগামী বাজেট অধিবেশনে তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির জন্য সমর্থন দেয়া ও অর্থমন্ত্রীর প্রতি অফিসিয়াল প্রস্তাবনা পত্র (ডিও লেটার) দেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান কাজী রফিকুল আলম।