ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইন্দোনেশিয়ায় ‘শীতল লাভা’র স্রোতে নিহত ৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিতে হড়কা বান, আগ্নেয়গিরির শীতল লাভার স্রোতে অন্তত ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টির পর সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মারাপির নিচের দিকে ছাই ও বড় বড় পাথর ভেসে আসার ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওহাব আলজাজিরা ও এএফপিকে বলেন, আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুই জেলা-ই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ লোকের বাস।

নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশ, সেনা, স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের অন্তত ৪০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আটটি এক্সকাভেটর ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। গেল ডিসেম্বরে মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

শীতল লাভা, লাহার নামেও পরিচিত। এটি বৃষ্টিতে আগ্নেয়গিরির ঢাল থেকে নেমে আসা এমন এক ধরনের উপাদান, যাতে ছাই, বালি ও নুড়ি পাথর মিশ্রিত থাকে। বৃষ্টিতে পথঘাট কাদার নদীতে পরিণত হয়েছে, যানবাহন ভেসে গেছে, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়া ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। ২০২২ সালে বন্যার কারণে সুমাত্রা থেকে ২৪ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন দুই শিশুর প্রাণহানিও ঘটে। পরিবেশবাদীরা এসব দুর্যোগের কারণ হিসেবে গাছ কেটে বন উজাড়কে দায়ী করে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্দোনেশিয়ায় ‘শীতল লাভা’র স্রোতে নিহত ৪১

আপডেট সময় : ০৬:৫০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিতে হড়কা বান, আগ্নেয়গিরির শীতল লাভার স্রোতে অন্তত ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টির পর সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মারাপির নিচের দিকে ছাই ও বড় বড় পাথর ভেসে আসার ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওহাব আলজাজিরা ও এএফপিকে বলেন, আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুই জেলা-ই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ লোকের বাস।

নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশ, সেনা, স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের অন্তত ৪০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আটটি এক্সকাভেটর ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। গেল ডিসেম্বরে মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

শীতল লাভা, লাহার নামেও পরিচিত। এটি বৃষ্টিতে আগ্নেয়গিরির ঢাল থেকে নেমে আসা এমন এক ধরনের উপাদান, যাতে ছাই, বালি ও নুড়ি পাথর মিশ্রিত থাকে। বৃষ্টিতে পথঘাট কাদার নদীতে পরিণত হয়েছে, যানবাহন ভেসে গেছে, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়া ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। ২০২২ সালে বন্যার কারণে সুমাত্রা থেকে ২৪ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন দুই শিশুর প্রাণহানিও ঘটে। পরিবেশবাদীরা এসব দুর্যোগের কারণ হিসেবে গাছ কেটে বন উজাড়কে দায়ী করে থাকেন।