পশ্চিমাদের ট্যাংক নিয়ে ইউক্রেনের মাথাব্যথার কারণ
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
- / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
যন্ত্রাংশ সংকটে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা ট্যাংকই এখন ইউক্রেনের মাথাব্যথার কারণ। কিয়েভের ভাণ্ডারে অসংখ্য লেপার্ড ট্যাংক থাকার পরেও সেগুলো কাজে আসছে না যুদ্ধক্ষেত্রে। এমনকি ট্যাংক সারিয়ে তুলতে প্রয়োজন হচ্ছে দ্বিগুণ সময়। সম্মুখযুদ্ধে দুর্বল হচ্ছে কিয়েভের অবস্থান, বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে মস্কো।
টানা ২৭ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এ সময়ে বারবার কিয়েভের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমারা। বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তার পাশাপাশি নিজেদের মজুত থেকেও অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনকে ৭১টি লেপার্ড টু ট্যাংক সরবরাহ করে জার্মানি। যার মধ্যে ধ্বংস হয়েছে ১২টি ট্যাংক। কয়েকটি রাশিয়ার হামলায় ক্ষতির শিকার হয়। তবে এই ট্যাংকগুলোই এখন কিয়েভের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের কাছে যেমন ট্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত যন্ত্রাংশ নেই, ঠিক তেমনই ট্যাংকটির প্রস্তুতকারক জার্মানির অস্ত্রগুদামও ফাঁকা।
দোনেৎস্কের সম্মুখসারিতে যুদ্ধ করছেন ইউক্রেনীয় সেনা আন্দ্রি। মূলত ট্যাংকের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার দায়িত্ব তার। তবে ইউক্রেনের মাটিতে জার্মান ট্যাংকগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না বলে অভিযোগ আন্দ্রির। তিনি জানান, কমপক্ষে পাঁচবার ব্যবহারের পরেই ট্যাংকের চাকা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। মূলত জার্মানি ও ইউক্রেনের স্থলভাগের প্রকৃতি ভিন্ন হওয়ার কারণে শক্তিশালী লেপার্ড ট্যাংকগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের জন্য আরও বাড়াচ্ছে ভোগান্তি।
লেপার্ড ট্যাংকগুলোয় মূলত নিচু ট্র্যাকের চাকা প্রয়োজন। তিন থেকে পাঁচ বার ব্যবহারের পরেই চাকা পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়ছে। আমাদের কাছে এতো যন্ত্রাংশ নেই। তাই যুদ্ধে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।
নব্বইয়ের দশকে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দেয় ইউরোপ। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় অনেক অস্ত্র কারখানা। তাই যন্ত্রাংশ সংকটে ট্যাংক ঠিক করতে প্রয়োজন হচ্ছে দ্বিগুণ সময়, যা যুদ্ধক্ষেত্রে বাড়িয়ে তুলছে ইউক্রেন-রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতার ব্যবধান।
এমন পরিস্থিতিতে জার্মানিকে অস্ত্র ও যন্ত্রাংশের উৎপাদন বাড়াতে চাপ দিচ্ছে কানাডা। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত সহায়তার ৬ হাজার ১শ’ কোটি ডলার দ্রুত ছাড় করতে বাইডেন প্রশাসনকে অনুরোধ করছে জেলেনস্কি সরকার।