ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঝুঁকিতে ৪৫ হাজার কোটি রুপির ভারতীয় মসলার বাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের বৃহত্তম মশলা প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত। যার করণে অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রির পাশাপাশি রপ্তানিতেও ভালো অবস্থানে রয়েছে দেশটি। সবমিলিয়ে ভারতীয় মশলার বাজার ৪৫ হাজার কোটি রুপির। কিন্তু বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি থাকা দিল্লির মশলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট ও এম.ডি.এইচ-এর মশলায় সম্প্রতি ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে এমন কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে হংকংয়ের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ভারতীয় দু’টি নামিদামি কোম্পানির মসলায় ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে এমন কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে একের পর এক দেশ। এতে মসলা রপ্তানি অন্তত ৪০ শতাংশ কমতে পারে বলে শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। যার কারণে ঝুঁকিতে ৪৫ হাজার কোটি রুপির ভারতীয় মসলার বাজার।

এ অবস্থায় দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় মশলা ভীতি। যার জেরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, সিঙ্গাপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ তাদের মশলা আমদানিতে স্থগিতাদেশ দেয়। এতে পূর্বের অনেক রপ্তানি আদেশও আটকে গেছে ভারতের। এমনকি অভ্যন্তরীণ বাজারেও এভারেস্ট ও এম.ডি.এইচ-এর মশলা কেনা থেকে বিরত রয়েছেন ভারতীয়রা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘বিষয়টি জানান পর আমি এমডিএইচ ও এভারেস্ট-এর মশলা ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি আগে এই ব্র্যান্ডগুলোর মশলাই কিনতাম। কিন্তু এখন আর নেই না।’

ভারতীয় মশলা রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দুটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যে পাওয়া ইথিলিন অক্সাইড নিয়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান থাকায় রপ্তানি ৪০ শতাংশ কমতে পারে বলে শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মশলায় ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহারে ক্যান্সারে ঝুঁকি নেই বলে দাবি করছে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্পাইস স্টেকহোল্ডারস। বলছে, এটি শুধুই ব্যবহার হয় দূষণ প্রতিরোধে।

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্পাইস স্টেকহোল্ডারসের চেয়ারম্যান অশ্বিন নায়ক বলেন, ‘ইথিলিন অক্সাইড ফর্মুলাটি কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এটি দেয়ার উদ্দেশ্য মশলায় উপস্থিত মাইক্রোবায়োলজিক্যাল প্যারামিটারগুলোকে মেরে ফেলে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় না।’

এমডিএইচ এবং এভারেস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক অঞ্চলে তাদের পণ্য রপ্তানি করে। আর বিতর্কিত দুটি ব্র্যান্ডের মধ্যে ১৯১৯ সালে ব্যবসা শুরু করে এমডিএইচ । অন্যদিকে ১৯৬৭ সালে মাত্র তিনটি পণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে এভারেস্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঝুঁকিতে ৪৫ হাজার কোটি রুপির ভারতীয় মসলার বাজার

আপডেট সময় : ০১:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

বিশ্বের বৃহত্তম মশলা প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত। যার করণে অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রির পাশাপাশি রপ্তানিতেও ভালো অবস্থানে রয়েছে দেশটি। সবমিলিয়ে ভারতীয় মশলার বাজার ৪৫ হাজার কোটি রুপির। কিন্তু বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি থাকা দিল্লির মশলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট ও এম.ডি.এইচ-এর মশলায় সম্প্রতি ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে এমন কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে হংকংয়ের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ভারতীয় দু’টি নামিদামি কোম্পানির মসলায় ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে এমন কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে একের পর এক দেশ। এতে মসলা রপ্তানি অন্তত ৪০ শতাংশ কমতে পারে বলে শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। যার কারণে ঝুঁকিতে ৪৫ হাজার কোটি রুপির ভারতীয় মসলার বাজার।

এ অবস্থায় দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় মশলা ভীতি। যার জেরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, সিঙ্গাপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ তাদের মশলা আমদানিতে স্থগিতাদেশ দেয়। এতে পূর্বের অনেক রপ্তানি আদেশও আটকে গেছে ভারতের। এমনকি অভ্যন্তরীণ বাজারেও এভারেস্ট ও এম.ডি.এইচ-এর মশলা কেনা থেকে বিরত রয়েছেন ভারতীয়রা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘বিষয়টি জানান পর আমি এমডিএইচ ও এভারেস্ট-এর মশলা ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি আগে এই ব্র্যান্ডগুলোর মশলাই কিনতাম। কিন্তু এখন আর নেই না।’

ভারতীয় মশলা রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দুটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যে পাওয়া ইথিলিন অক্সাইড নিয়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান থাকায় রপ্তানি ৪০ শতাংশ কমতে পারে বলে শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মশলায় ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহারে ক্যান্সারে ঝুঁকি নেই বলে দাবি করছে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্পাইস স্টেকহোল্ডারস। বলছে, এটি শুধুই ব্যবহার হয় দূষণ প্রতিরোধে।

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্পাইস স্টেকহোল্ডারসের চেয়ারম্যান অশ্বিন নায়ক বলেন, ‘ইথিলিন অক্সাইড ফর্মুলাটি কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এটি দেয়ার উদ্দেশ্য মশলায় উপস্থিত মাইক্রোবায়োলজিক্যাল প্যারামিটারগুলোকে মেরে ফেলে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় না।’

এমডিএইচ এবং এভারেস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক অঞ্চলে তাদের পণ্য রপ্তানি করে। আর বিতর্কিত দুটি ব্র্যান্ডের মধ্যে ১৯১৯ সালে ব্যবসা শুরু করে এমডিএইচ । অন্যদিকে ১৯৬৭ সালে মাত্র তিনটি পণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে এভারেস্ট।