ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট কে এই মোহাম্মদ মোখবের?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের (৬৮)। দেশটির সংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ীই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর কাউন্সিলে থাকবেন পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধানসহ তিনজন সদস্য। এই কাউন্সিল প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে একটি নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করবে।

মোখবের ১৯৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। রাইসির মতো মোখবারও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ। ২০২১ সালে রাইসি প্রেসিডেন্ট হলে মোখবার প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে সারফেস টু সারফেস মিসাইল এবং আরও ড্রোন সরবরাহ করতে একটি চুক্তির প্রয়োজনে গত অক্টোবরে মস্কোতে গিয়েছিল ইরানি কর্মকর্তাদের একটি দল। সে সময় মোখবেরও ওই দলের সঙ্গে ছিলেন। দলটিতে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই সিনিয়র কর্মকর্তা এবং সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তাও ছিলেন।

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিনিয়োগ তহবিল যেটি সিতাদ নামে পরিচিত, তার প্রধান ছিলেন মোখবের। ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মোহাম্মদ মোখবের সিতাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এটা ইরানের অন্যতম শক্তিশালী একটি অর্থনৈতিক কনগ্লোমারেট (একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অধীন থাকা বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী)। মূলত দাতব্যকাজের জন্য এ প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে পরিচিত। সর্বোচ্চ নেতার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়।

মোহাম্মদ মোখবেরের নজরদারিতে সিতাদ করোনার নিজস্ব টিকা ‘কোভিরান বারেকাত’ তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়েছিল। যদিও এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই টিকা নেওয়ার পর অনেকেই জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগেছেন। ২০১৩ সালে সেতাদ এবং ৩৭টি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

সেতাদের পুরো নাম সেতাদ ইজরায়ে ফরমানে হযরতে এমাম বা ইমামের আদেশ কার্যকর করার প্রধান কার্যালয়। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা খামেনির পূর্বসূরি আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির জারি করা একটি আদেশের অধীনে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এর আগে ২০১০ সালে ‘পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম’ এর সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই তালিকায় নাম ছিল মোখবেরের নাম। তবে দুই বছর পরে সেই তালিকা থেকে তাঁর নামে সরিয়ে দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় যান। সেখানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইব্রাহিম রাইসি। এর পর থেকে মোখবেরকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট কে এই মোহাম্মদ মোখবের?

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের (৬৮)। দেশটির সংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ীই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর কাউন্সিলে থাকবেন পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধানসহ তিনজন সদস্য। এই কাউন্সিল প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে একটি নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করবে।

মোখবের ১৯৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। রাইসির মতো মোখবারও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ। ২০২১ সালে রাইসি প্রেসিডেন্ট হলে মোখবার প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে সারফেস টু সারফেস মিসাইল এবং আরও ড্রোন সরবরাহ করতে একটি চুক্তির প্রয়োজনে গত অক্টোবরে মস্কোতে গিয়েছিল ইরানি কর্মকর্তাদের একটি দল। সে সময় মোখবেরও ওই দলের সঙ্গে ছিলেন। দলটিতে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই সিনিয়র কর্মকর্তা এবং সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তাও ছিলেন।

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিনিয়োগ তহবিল যেটি সিতাদ নামে পরিচিত, তার প্রধান ছিলেন মোখবের। ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মোহাম্মদ মোখবের সিতাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এটা ইরানের অন্যতম শক্তিশালী একটি অর্থনৈতিক কনগ্লোমারেট (একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অধীন থাকা বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী)। মূলত দাতব্যকাজের জন্য এ প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে পরিচিত। সর্বোচ্চ নেতার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়।

মোহাম্মদ মোখবেরের নজরদারিতে সিতাদ করোনার নিজস্ব টিকা ‘কোভিরান বারেকাত’ তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়েছিল। যদিও এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই টিকা নেওয়ার পর অনেকেই জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগেছেন। ২০১৩ সালে সেতাদ এবং ৩৭টি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

সেতাদের পুরো নাম সেতাদ ইজরায়ে ফরমানে হযরতে এমাম বা ইমামের আদেশ কার্যকর করার প্রধান কার্যালয়। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা খামেনির পূর্বসূরি আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির জারি করা একটি আদেশের অধীনে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এর আগে ২০১০ সালে ‘পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম’ এর সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই তালিকায় নাম ছিল মোখবেরের নাম। তবে দুই বছর পরে সেই তালিকা থেকে তাঁর নামে সরিয়ে দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় যান। সেখানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইব্রাহিম রাইসি। এর পর থেকে মোখবেরকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।