ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যবসা?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এমপি আনারের স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যবসায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তার বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। আজীম সেই অর্থ দিয়ে দুবাই থেকে অবৈধভাবে স্বর্ণের বার এনে ভারতে পাচার করতেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও আনোয়ারুল আজীমের পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাস সেসব স্বর্ণের বার কিনে নিতেন। এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো বলে ধারনা করছে গোয়েন্দা।

এক পর্যায়ে লাভের হিস্যা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তৈরি হয় শত্রুতা। আর সেই শত্রুতার জেরেই ঘটেছে আনার হত্যাকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টরা জানান, কলকাতায় এমপি আনারকে সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে নিয়ে ভাড়াটে খুনী আমান ওরফে শিমুল ও তার সহযোগীরা শাহীনের বিনিয়োগের টাকা ফেরত দিতে বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় আনারকে।

ছোটবেলার বন্ধু হিসেবে আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে আগে যৌথভাবে স্বর্ণ চোরাকারবারির ব্যবসা করলেও এমপি আনোয়ারুল আজীম সম্প্রতি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু তাদের বন্ধুত্ব আগের মতোই ছিল বলে ধারণা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা জানান, আক্তারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেফতার করতে পারলে হত্যাকান্ডের মোটিভ স্পষ্ট হবে। এখন পর্যন্ত এমপি আনার ও শাহীনের বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও আমান ওরফে শিমুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দুই শ’ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কলকাতায় গিয়ে এমপি আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যবসা?

আপডেট সময় : ০২:০২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

এমপি আনারের স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যবসায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তার বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। আজীম সেই অর্থ দিয়ে দুবাই থেকে অবৈধভাবে স্বর্ণের বার এনে ভারতে পাচার করতেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও আনোয়ারুল আজীমের পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাস সেসব স্বর্ণের বার কিনে নিতেন। এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো বলে ধারনা করছে গোয়েন্দা।

এক পর্যায়ে লাভের হিস্যা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তৈরি হয় শত্রুতা। আর সেই শত্রুতার জেরেই ঘটেছে আনার হত্যাকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টরা জানান, কলকাতায় এমপি আনারকে সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে নিয়ে ভাড়াটে খুনী আমান ওরফে শিমুল ও তার সহযোগীরা শাহীনের বিনিয়োগের টাকা ফেরত দিতে বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় আনারকে।

ছোটবেলার বন্ধু হিসেবে আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে আগে যৌথভাবে স্বর্ণ চোরাকারবারির ব্যবসা করলেও এমপি আনোয়ারুল আজীম সম্প্রতি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু তাদের বন্ধুত্ব আগের মতোই ছিল বলে ধারণা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা জানান, আক্তারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেফতার করতে পারলে হত্যাকান্ডের মোটিভ স্পষ্ট হবে। এখন পর্যন্ত এমপি আনার ও শাহীনের বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও আমান ওরফে শিমুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দুই শ’ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কলকাতায় গিয়ে এমপি আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।