০৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়ন সহযোগী যে হবে তাদের নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কার ঝগড়া তা দেখার প্রয়োজন নেই। উন্নয়ন সহযোগী যে হবে তাদের নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। রোববার (২ জুন) গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলে ক্ষমতায়ন হোক এটি চায় না এক শ্রেণির মানুষ। নিজেদের আরাম আয়েশকেই বড় করে দেখেন, জ্ঞানী-গুণীদের কেউ কেউ।

রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয় তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, অতীতে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হলেও এখন সেটি বন্ধ হয়েছে। চর্চা হচ্ছে সঠিক ইতিহাস। শিশু- কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবার। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার।

তিনি বলেন, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলবো না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবো। আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলবো, এটাই আমাদের মাথায় সবসময় রাখতে হবে। একটা কথা মনে রাখবে যে ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ সালের আমরা কিন্তু ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের পথচলা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমরা যেন আরও সুন্দরভাবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেভাবেই কিন্তু নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষা ছাড়া কখনো এটা সম্ভব না। শিক্ষা ছাড়া কোনোদিন একটা জাতিকে দারিদ্র্যমুক্ত করা যায় না। শিক্ষাই হচ্ছে সব থেকে বড় অর্জন।

উন্নয়ন সহযোগী যে হবে তাদের নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০২:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, রোববার, ২ জুন ২০২৪

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কার ঝগড়া তা দেখার প্রয়োজন নেই। উন্নয়ন সহযোগী যে হবে তাদের নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। রোববার (২ জুন) গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলে ক্ষমতায়ন হোক এটি চায় না এক শ্রেণির মানুষ। নিজেদের আরাম আয়েশকেই বড় করে দেখেন, জ্ঞানী-গুণীদের কেউ কেউ।

রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয় তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, অতীতে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হলেও এখন সেটি বন্ধ হয়েছে। চর্চা হচ্ছে সঠিক ইতিহাস। শিশু- কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবার। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার।

তিনি বলেন, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলবো না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবো। আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলবো, এটাই আমাদের মাথায় সবসময় রাখতে হবে। একটা কথা মনে রাখবে যে ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ সালের আমরা কিন্তু ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের পথচলা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমরা যেন আরও সুন্দরভাবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেভাবেই কিন্তু নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষা ছাড়া কখনো এটা সম্ভব না। শিক্ষা ছাড়া কোনোদিন একটা জাতিকে দারিদ্র্যমুক্ত করা যায় না। শিক্ষাই হচ্ছে সব থেকে বড় অর্জন।