ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মে মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। একইসঙ্গে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও। মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। আজ (সোমবার, ৩ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ আর্থিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের মে মাসে সর্বোচ্চ ৯.৯৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। যা গত ১২ বছরের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। চলতি বছরের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এর আগে মার্চে এটি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

এদিকে সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি ১১ শতাংশে ছুঁইছুই অবস্থায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি। দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে মে মাসে এই হার দাঁড়িয়েছে ১০.৭৬ শতাংশ।

চলতি বছরের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, এর আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মে মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমলেও অত্যধিক বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।

গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলগুলোতে উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। শহর এলাকায় মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতিকে ৬ শতাংশের ঘরে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। তবে নানা পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার পরও কোনোভাবেই এটি ৯ শতাংশের নিচে নামানো সম্ভব হয়নি। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, টানা ২৪ মাস ধরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরেই রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মে মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ

আপডেট সময় : ১১:২১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। একইসঙ্গে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও। মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। আজ (সোমবার, ৩ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ আর্থিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের মে মাসে সর্বোচ্চ ৯.৯৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। যা গত ১২ বছরের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। চলতি বছরের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এর আগে মার্চে এটি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

এদিকে সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি ১১ শতাংশে ছুঁইছুই অবস্থায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি। দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে মে মাসে এই হার দাঁড়িয়েছে ১০.৭৬ শতাংশ।

চলতি বছরের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, এর আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মে মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমলেও অত্যধিক বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।

গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলগুলোতে উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। শহর এলাকায় মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতিকে ৬ শতাংশের ঘরে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। তবে নানা পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার পরও কোনোভাবেই এটি ৯ শতাংশের নিচে নামানো সম্ভব হয়নি। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, টানা ২৪ মাস ধরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরেই রয়েছে।