বাজেট অধিবেশন শুরু, আকার ৮ লাখ কোটি টাকা
- আপডেট সময় : ১১:৫১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
- / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন ও চলতি বছরের (২০২৪ সাল) তৃতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ বুধবার (৫ জুন) থেকে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। জাতীয় সংসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই অধিবেশন আহ্বান করেন। অধিবেশন শুরু পরের দিন বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। এটি হবে বর্তমানে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। বর্তমান সরকারের টানা ১৬তম বাজেট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এটি তৃতীয় অধিবেশন। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। তবে আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ১০ জুন সম্পূরক বাজেট পাস হবে বলে জানা গেছে।
আসন্ন অর্থবছরের বাজেট হবে দেশের ৫৩তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ৬ মেয়াদে ২৫তম বাজেট। তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন। দেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন টাকা এবং এডিপির আকার ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেটটি প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করা হবে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছেন দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। যেখানে আড়াই লাখ কোটি টাকারও বেশি বাজেট ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণের বিকল্প খুঁজে পাননি তিনি। বরাবরের মতো ব্যর্থতার পরও এনবিআরের কাঁধেই চাপালেন বাজেটের ৬০ শতাংশের বেশি অর্থ যোগানের দায়িত্ব।
অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গে বাজেটের প্রায় ৬৪ শতাংশ অর্থ পরিচালন ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবার। একরকম বাধ্য হয়েই আরও ১৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় করছেন ঋণের সুদ পরিশোধে। ফলে উন্নয়ন বরাদ্দে অর্থের বরাদ্দ নেমে এসেছে ৩০ শতাংশের আশেপাশে।