১১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের রাজনীতিতে মোদীর বিস্ময়কর উত্থান

২৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি আছেন রাজনীতির ময়দানে। প্রথমে নিজ রাজ্য গুজরাট ও তারপর ভারতের মূলধারার রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। অথচ কৈশোরে তার অনেকটা সময় কেটেছে রেলস্টেশনে চা বিক্রি করে।

তাকে ঘিরে অবিশ্বাস ছিলো, ছিলো দাঙ্গার কলঙ্ক আর ঘৃণা। তিনি আর কেউ নন গত এক দশকে, ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী; সকাল দেখে সারাটাদিন কেমন যাবে বোঝা গেলেও মোদির জীবনের শুরু দেখে কেউ ভাবেনি একদিন তিনি এমন দোর্দণ্ড প্রতাপ রাজনীতিক হবেন।

ভারত স্বাধীন হওয়ার তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের ভাদনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোদী। তার বাবা দামোদরদাস মোদী এবং মায়ের নাম হিরাবা মোদী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। কৈশোরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন তিনি।

ছাত্রজীবনে মোদীর ব্যাপক আগ্রহ ছিলো বিতর্ক আর থিয়েটারে। যার প্রভাব তার রাজনৈতিক জীবনেও স্পষ্ট। রাজনীতির একদম শীর্ষ পদে নরেন্দ্র মোদির আরোহণ বিস্মিত করে অনেককে।

১৯৮৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী এবং দলটির গুজরাটের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০১ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।

২০০১ থেকে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত টানা চারবার তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসেবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতা নেয়ার পরের বছর, ২০০২ সালে ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা বাঁধে গুজরাটে। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যার অধিকাংশই মুসলিম।

নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। প্রথমবারেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তিনি ভারতের ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১৯ সালের ৩০ মে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

বিশ্লেষকদের মত, মোদীর শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং আত্মবিশ্বাস তাকে বিশ্বের শক্তিধর নেতাদের কাতারে নিয়ে গেছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, নরেন্দ্র মোদীর মতো এত আলোচিত, সমালোচিত, নন্দিত, নিন্দিত ও বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী ভারত দেখেনি।

ভারতের রাজনীতিতে মোদীর বিস্ময়কর উত্থান

আপডেট : ০১:১২:০২ অপরাহ্ন, রোববার, ৯ জুন ২০২৪

২৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি আছেন রাজনীতির ময়দানে। প্রথমে নিজ রাজ্য গুজরাট ও তারপর ভারতের মূলধারার রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। অথচ কৈশোরে তার অনেকটা সময় কেটেছে রেলস্টেশনে চা বিক্রি করে।

তাকে ঘিরে অবিশ্বাস ছিলো, ছিলো দাঙ্গার কলঙ্ক আর ঘৃণা। তিনি আর কেউ নন গত এক দশকে, ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী; সকাল দেখে সারাটাদিন কেমন যাবে বোঝা গেলেও মোদির জীবনের শুরু দেখে কেউ ভাবেনি একদিন তিনি এমন দোর্দণ্ড প্রতাপ রাজনীতিক হবেন।

ভারত স্বাধীন হওয়ার তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের ভাদনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোদী। তার বাবা দামোদরদাস মোদী এবং মায়ের নাম হিরাবা মোদী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। কৈশোরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন তিনি।

ছাত্রজীবনে মোদীর ব্যাপক আগ্রহ ছিলো বিতর্ক আর থিয়েটারে। যার প্রভাব তার রাজনৈতিক জীবনেও স্পষ্ট। রাজনীতির একদম শীর্ষ পদে নরেন্দ্র মোদির আরোহণ বিস্মিত করে অনেককে।

১৯৮৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী এবং দলটির গুজরাটের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০১ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।

২০০১ থেকে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত টানা চারবার তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসেবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতা নেয়ার পরের বছর, ২০০২ সালে ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা বাঁধে গুজরাটে। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যার অধিকাংশই মুসলিম।

নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। প্রথমবারেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তিনি ভারতের ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১৯ সালের ৩০ মে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

বিশ্লেষকদের মত, মোদীর শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং আত্মবিশ্বাস তাকে বিশ্বের শক্তিধর নেতাদের কাতারে নিয়ে গেছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, নরেন্দ্র মোদীর মতো এত আলোচিত, সমালোচিত, নন্দিত, নিন্দিত ও বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী ভারত দেখেনি।