ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামানো অবাস্তব: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম উচ্চ মূল্যস্ফীতি। বৈদেশিক মুদ্রার অবনমন উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালাগ (সিপিডি)। সংস্থাটি জানায়, প্রায় ১০ শতাংশ থেকে একবছরে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা অবাস্তব। মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হলেও আর্থিকনীতিতে সরকার পরিবর্তন আনেনি।

বুধবার (১২ জুন) গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বাজেট সংলাপ ২০২৪’-এ বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি দরিদ্র্য মানুষের ওপর চাপ তৈরি করছে। বাজেটে খাদ্য সহায়তার পরিমাণ কমানো হয়েছে। বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজন বিনিয়োগ। জিডিপির ২৭ ভাগের বেশি বিনিয়োগ লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন। মে মাস পর্যন্ত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। কিন্তু বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ ভাগ।

এছাড়া অর্জন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, কালো টাকা সাদা করার উদ্যোগ সৎ করদাতাদের ওপর অন্যায়। বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যাংক নির্ভরতায় ব্যাক্তিখাতের সুযোগ কমে যাবে। এতে বাড়বে সুদের হার। অন্যদিকে বাড়ছে সুদ বাবদ ব্যয়। রিজার্ভ ক্রমাগত নিচে নামছে। এ বিষয়ে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হলেও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামানো অবাস্তব: সিপিডি

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

অর্থনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম উচ্চ মূল্যস্ফীতি। বৈদেশিক মুদ্রার অবনমন উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালাগ (সিপিডি)। সংস্থাটি জানায়, প্রায় ১০ শতাংশ থেকে একবছরে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা অবাস্তব। মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হলেও আর্থিকনীতিতে সরকার পরিবর্তন আনেনি।

বুধবার (১২ জুন) গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বাজেট সংলাপ ২০২৪’-এ বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি দরিদ্র্য মানুষের ওপর চাপ তৈরি করছে। বাজেটে খাদ্য সহায়তার পরিমাণ কমানো হয়েছে। বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজন বিনিয়োগ। জিডিপির ২৭ ভাগের বেশি বিনিয়োগ লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন। মে মাস পর্যন্ত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। কিন্তু বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ ভাগ।

এছাড়া অর্জন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, কালো টাকা সাদা করার উদ্যোগ সৎ করদাতাদের ওপর অন্যায়। বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যাংক নির্ভরতায় ব্যাক্তিখাতের সুযোগ কমে যাবে। এতে বাড়বে সুদের হার। অন্যদিকে বাড়ছে সুদ বাবদ ব্যয়। রিজার্ভ ক্রমাগত নিচে নামছে। এ বিষয়ে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হলেও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।