০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পারমাণবিক বোমা স্ট্যান্ডবাই রাখতে আলোচনায় ন্যাটো

রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা পারমাণবিক বোমা মোতায়েন ও প্রস্তুত (স্ট্যান্ডবাই) রাখার বিষয়ে আলোচনা করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। সোমবার (১৭ জুন) এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে এই কথা জানিয়েছেন সামরিক জোটটির প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। খবর রয়টার্সের।

জেনস স্টলটেনবার্গ জানান, ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এর সদস্যদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, কতগুলো পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করা হবে এবং কতগুলো সংরক্ষণ করা হবে, সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলাপে যাব না। তবে আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমরা ঠিক এটাই করছি।

ন্যাটো প্রধান বলেন, স্বচ্ছতা সরাসরি বার্তা বিনিময়ে সাহায্য করে। আর হ্যা, আমরা অবশ্যই একটি পারমাণবিক জোট।

তিনি আরও বলেন, ন্যাটোর লক্ষ্য অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি বিশ্ব। কিন্তু যতদিন পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে আমরা তত দিন একটি পারমাণবিক জোট হিসেবে থাকব। কারণ রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে আর ন্যাটোর কাছে না থাকলে, বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

এর আগে গত সপ্তাহে স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ন্যাটোর চূড়ান্ত নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং বিশ্বে শান্তি রক্ষার একটি উপায়।

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বহুবার সতর্ক করে বলেছেন, চরম পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার জন্য রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়ে পশ্চিমারা বিশ্বকে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে পারমাণবিক বোমা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বিষয়ে খুব কম কথাই বলে ন্যাটো।

পারমাণবিক বোমা স্ট্যান্ডবাই রাখতে আলোচনায় ন্যাটো

আপডেট : ০৬:১৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা পারমাণবিক বোমা মোতায়েন ও প্রস্তুত (স্ট্যান্ডবাই) রাখার বিষয়ে আলোচনা করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। সোমবার (১৭ জুন) এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে এই কথা জানিয়েছেন সামরিক জোটটির প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। খবর রয়টার্সের।

জেনস স্টলটেনবার্গ জানান, ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এর সদস্যদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, কতগুলো পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করা হবে এবং কতগুলো সংরক্ষণ করা হবে, সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলাপে যাব না। তবে আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমরা ঠিক এটাই করছি।

ন্যাটো প্রধান বলেন, স্বচ্ছতা সরাসরি বার্তা বিনিময়ে সাহায্য করে। আর হ্যা, আমরা অবশ্যই একটি পারমাণবিক জোট।

তিনি আরও বলেন, ন্যাটোর লক্ষ্য অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি বিশ্ব। কিন্তু যতদিন পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে আমরা তত দিন একটি পারমাণবিক জোট হিসেবে থাকব। কারণ রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে আর ন্যাটোর কাছে না থাকলে, বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

এর আগে গত সপ্তাহে স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ন্যাটোর চূড়ান্ত নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং বিশ্বে শান্তি রক্ষার একটি উপায়।

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বহুবার সতর্ক করে বলেছেন, চরম পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার জন্য রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়ে পশ্চিমারা বিশ্বকে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে পারমাণবিক বোমা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বিষয়ে খুব কম কথাই বলে ন্যাটো।