০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়েক মাসে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পতন হতে পারে!

প্রায় ২০ বছর ধরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। দীর্ঘ দিন এক হাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর শাসন করেছেন তিনি। তবে ২০০৭ সালে গাজা থেকে তাকে বিতাড়িত করে হামাস। এরপর থেকে শুধু পশ্চিম তীরেই সীমাবদ্ধ তার শাসন ক্ষমতা। তবে এবার এই পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পতন হতে পারে, এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছে নরওয়ে।

সোমবার (১৭ জুন) নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আগামী কয়েক মাসে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পতন হতে পারে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, অর্থ সংকট, অব্যাহত সহিংসতা এবং ইসরায়েলে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকে কাজ করতে না দেয়া।

এসপেন বার্থ বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, যাদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি, তারা আমাদের সতর্ক করছে যে এই গ্রীষ্মেই তাদের পতন হতে পারে।

তিনি বলেন, যদি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ধসে পড়ে, তাহলে আপনারা আরেকটি গাজা পেতে পারেন, যা ইসরায়েলের জনগণসহ সবার জন্য ভয়ংকর হবে।

মাহমুদ আব্বাস ২০০৪ সাল থেকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সভাপতি। পিএলও প্রধানের পদ দখলের পরের বছর থেকে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে ফিলিস্তিনিদের মাঝে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা এই নেতার জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছেই। দীর্ঘদিন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের পদ আকড়ে ধরে রাখায় তাকে অনেকে একনায়ক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচনা করেন। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালালেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ মনোভব তার প্রতি জনমানুষের ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। তিনি ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসের নিন্দা পর্যন্ত করেছেন। এমনকি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সুযোগ করে দিয়েছে এই অভিযোগে তিনি হামাসকে দোষারোপ করেছেন।

তবে মজার বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মন জোগাতে এত কিছু করলেও যুদ্ধ শেষে মাহমুদ আব্বাসের হাতে গাজা তুলে দিতে অস্বীকার করছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার।

কয়েক মাসে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পতন হতে পারে!

আপডেট : ০২:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

প্রায় ২০ বছর ধরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। দীর্ঘ দিন এক হাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর শাসন করেছেন তিনি। তবে ২০০৭ সালে গাজা থেকে তাকে বিতাড়িত করে হামাস। এরপর থেকে শুধু পশ্চিম তীরেই সীমাবদ্ধ তার শাসন ক্ষমতা। তবে এবার এই পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পতন হতে পারে, এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছে নরওয়ে।

সোমবার (১৭ জুন) নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আগামী কয়েক মাসে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পতন হতে পারে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, অর্থ সংকট, অব্যাহত সহিংসতা এবং ইসরায়েলে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকে কাজ করতে না দেয়া।

এসপেন বার্থ বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, যাদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি, তারা আমাদের সতর্ক করছে যে এই গ্রীষ্মেই তাদের পতন হতে পারে।

তিনি বলেন, যদি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ধসে পড়ে, তাহলে আপনারা আরেকটি গাজা পেতে পারেন, যা ইসরায়েলের জনগণসহ সবার জন্য ভয়ংকর হবে।

মাহমুদ আব্বাস ২০০৪ সাল থেকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সভাপতি। পিএলও প্রধানের পদ দখলের পরের বছর থেকে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে ফিলিস্তিনিদের মাঝে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা এই নেতার জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছেই। দীর্ঘদিন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের পদ আকড়ে ধরে রাখায় তাকে অনেকে একনায়ক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচনা করেন। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালালেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ মনোভব তার প্রতি জনমানুষের ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। তিনি ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসের নিন্দা পর্যন্ত করেছেন। এমনকি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সুযোগ করে দিয়েছে এই অভিযোগে তিনি হামাসকে দোষারোপ করেছেন।

তবে মজার বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মন জোগাতে এত কিছু করলেও যুদ্ধ শেষে মাহমুদ আব্বাসের হাতে গাজা তুলে দিতে অস্বীকার করছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার।