০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণে বন্যা-উত্তরের খরায় বিপর্যস্ত চীন

বন্যার তান্ডব, অন্যদিকে খরায় নিষ্প্রাণ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। চীনের দক্ষিণে মুষলধারে বৃষ্টি, বন্যা-ভূমিধসে ধ্বংসযজ্ঞ বেড়েই চলেছে তিনদিন ধরে। উত্তরে বৃষ্টির অভাবে ৯০ শতাংশ আয় হারিয়ে নিঃস্ব কৃষকরা। বানের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছে ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট। বিধ্বংসী এ বন্যার দৃশ্য চীনের গুয়াংদং প্রদেশের।

শুধু গুয়াংদং নয়, অতিবৃষ্টি, বন্যা-ভূমিধসে লণ্ডভণ্ড চীনের প্রায় পুরো দক্ষিণাঞ্চল। কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি চলছে গুয়াংদং, ফুজিয়ান, গুইঝৌ, জিয়াংশি, ঝেজিয়াং প্রদেশ আর গুয়াংশি অঞ্চলে।

গুয়াংদংয়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেই রোববার থেকে আর থামার নাম নেই। ফুজিয়ানের গুয়াংজেতে মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদীতে পানি বিপৎসীমার দুই থেকে আড়াই মিটার ওপরে পৌঁছে গেছে। এতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শহরজুড়ে। গুয়াংশিতে বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ১শ’ থেকে আড়াইশ’ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে ৩৩টি আবহাওয়া কেন্দ্র। বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। চলছে সর্বোচ্চ আবহাওয়া সতর্কতা- রেড অ্যালার্ট। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে চীনের সশস্ত্র বাহিনী।

একদিকে বন্যার এমন তান্ডব, তো ঠিক উল্টোদিকে খরায় নিষ্প্রাণ গ্রামের পর গ্রাম। দক্ষিণে অতিবৃষ্টি, উত্তরে বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে একের পর এক নদী, ফেটে চৌচির মাঠ। শ্যানডং প্রদেশে তাপমাত্রার পারদ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে, জারি আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অরেঞ্জ অ্যালার্ট। হেবেই, শাঞ্জি ও হেবেই প্রদেশেও চলছে তীব্র খরা। গ্রীষ্মকালীন ফসলের বীজ বুনে ৯০ শতাংশও ক্ষতি গুণতে হচ্ছে অনেক কৃষককে।

কৃষকদের একজন বলেন, ‘আমাদের আয় তো অনেক নয়। বছরে এক লাখ ইউয়ান। এ বছর ৯০ হাজার ইউয়ানের ক্ষতিই গুণেছি।’

গম উৎপাদনে এগিয়ে থাকা হেবেই, হেনান আর শ্যানডংয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে শঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। চলতি মাসের শুরুতেই কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি আছে শ্যানডংয়ের জিনান শহরে।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আরও অন্তত দুই মাস গরম থাকবে। গ্রীষ্মের সবচেয়ে গরম যে ৪০ দিন, তার আগেই এবার এমন গরম পড়েছে। জিনানকে জ্বলন্ত চুলা মনে হচ্ছে।’

দেশের দুই প্রান্তে দুই দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং জানমাল রক্ষায় বুধবার সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

প্রতিপক্ষ ইসরায়েল, ম্যাচ বয়কট করলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়

দক্ষিণে বন্যা-উত্তরের খরায় বিপর্যস্ত চীন

আপডেট : ০২:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

বন্যার তান্ডব, অন্যদিকে খরায় নিষ্প্রাণ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। চীনের দক্ষিণে মুষলধারে বৃষ্টি, বন্যা-ভূমিধসে ধ্বংসযজ্ঞ বেড়েই চলেছে তিনদিন ধরে। উত্তরে বৃষ্টির অভাবে ৯০ শতাংশ আয় হারিয়ে নিঃস্ব কৃষকরা। বানের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছে ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট। বিধ্বংসী এ বন্যার দৃশ্য চীনের গুয়াংদং প্রদেশের।

শুধু গুয়াংদং নয়, অতিবৃষ্টি, বন্যা-ভূমিধসে লণ্ডভণ্ড চীনের প্রায় পুরো দক্ষিণাঞ্চল। কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি চলছে গুয়াংদং, ফুজিয়ান, গুইঝৌ, জিয়াংশি, ঝেজিয়াং প্রদেশ আর গুয়াংশি অঞ্চলে।

গুয়াংদংয়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেই রোববার থেকে আর থামার নাম নেই। ফুজিয়ানের গুয়াংজেতে মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদীতে পানি বিপৎসীমার দুই থেকে আড়াই মিটার ওপরে পৌঁছে গেছে। এতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শহরজুড়ে। গুয়াংশিতে বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ১শ’ থেকে আড়াইশ’ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে ৩৩টি আবহাওয়া কেন্দ্র। বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। চলছে সর্বোচ্চ আবহাওয়া সতর্কতা- রেড অ্যালার্ট। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে চীনের সশস্ত্র বাহিনী।

একদিকে বন্যার এমন তান্ডব, তো ঠিক উল্টোদিকে খরায় নিষ্প্রাণ গ্রামের পর গ্রাম। দক্ষিণে অতিবৃষ্টি, উত্তরে বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে একের পর এক নদী, ফেটে চৌচির মাঠ। শ্যানডং প্রদেশে তাপমাত্রার পারদ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে, জারি আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অরেঞ্জ অ্যালার্ট। হেবেই, শাঞ্জি ও হেবেই প্রদেশেও চলছে তীব্র খরা। গ্রীষ্মকালীন ফসলের বীজ বুনে ৯০ শতাংশও ক্ষতি গুণতে হচ্ছে অনেক কৃষককে।

কৃষকদের একজন বলেন, ‘আমাদের আয় তো অনেক নয়। বছরে এক লাখ ইউয়ান। এ বছর ৯০ হাজার ইউয়ানের ক্ষতিই গুণেছি।’

গম উৎপাদনে এগিয়ে থাকা হেবেই, হেনান আর শ্যানডংয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে শঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। চলতি মাসের শুরুতেই কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি আছে শ্যানডংয়ের জিনান শহরে।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আরও অন্তত দুই মাস গরম থাকবে। গ্রীষ্মের সবচেয়ে গরম যে ৪০ দিন, তার আগেই এবার এমন গরম পড়েছে। জিনানকে জ্বলন্ত চুলা মনে হচ্ছে।’

দেশের দুই প্রান্তে দুই দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং জানমাল রক্ষায় বুধবার সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।