০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তা নদী বা যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে টানাপড়েন চললেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের দিল্লি সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন বিষয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৩ জুন) দিল্লি সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সফরটি অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ এবং আন্তরিকতাপূর্ণ ছিলো। তিস্তা নদী নিয়ে বা আমাদের যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে, সেই যৌথ নদীর যদি একটা অভিন্ন ব্যবস্থাপনা করতে পারি সেটি দুদেশকে উপকৃত করবে। সে নিয়ে আমরা আলোচনা উপস্থাপন করেছি।

তিনি আরো বলেন, তিস্তা নদী ও চীনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা ভারতের সহায়তা চেয়েছি। তখন চীন প্রসঙ্গ এসেছে। যেখানে জাতিগত যে সংঘাত চলছে সেই প্রসঙ্গে চীনের কথা এসেছে।

সম্প্রতি দিল্লিতে দুদি‌নের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর দেশটিতে এটি প্রথম কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর ছিলো এটি। সরকার প্রধানের সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২২ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। সেই বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ থাকলেও দিল্লির পক্ষ থেকে তিস্তা জট খোলা নিয়ে কোনো সুখবর ছিলো না।

তিস্তা প্রসঙ্গে মোদি বলেছেন, তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে।

ভারতীয় কারিগরি দল আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা একটা বড় প্রকল্প। সেটার জন্য তো কারিগরি দল আসতেই হবে। কারিগর দল আসা মানে এটা খুব ইতিবাচক।

বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ করে মেডিকেল ই-ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে ভারত। কবে নাগাদ এটি চালু হবে- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ই-ভিসা চালুর কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন। বিশেষ করে মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ভিসাও যেনো সহজীকরণ হয়, এ বিষয়ে তারা একটি প্যাকেজ নিয়ে এগোচ্ছে। দিনক্ষণ বলার মতো কর্তৃপক্ষ আমি নই। এটা ভারতীয় হাইকমিশন বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক যুক্ত হওয়ার খবর এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এখনই কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তিস্তা নদী বা যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট : ০৩:২২:৩৬ অপরাহ্ন, রোববার, ২৩ জুন ২০২৪

বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে টানাপড়েন চললেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের দিল্লি সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন বিষয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৩ জুন) দিল্লি সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সফরটি অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ এবং আন্তরিকতাপূর্ণ ছিলো। তিস্তা নদী নিয়ে বা আমাদের যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে, সেই যৌথ নদীর যদি একটা অভিন্ন ব্যবস্থাপনা করতে পারি সেটি দুদেশকে উপকৃত করবে। সে নিয়ে আমরা আলোচনা উপস্থাপন করেছি।

তিনি আরো বলেন, তিস্তা নদী ও চীনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা ভারতের সহায়তা চেয়েছি। তখন চীন প্রসঙ্গ এসেছে। যেখানে জাতিগত যে সংঘাত চলছে সেই প্রসঙ্গে চীনের কথা এসেছে।

সম্প্রতি দিল্লিতে দুদি‌নের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর দেশটিতে এটি প্রথম কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর ছিলো এটি। সরকার প্রধানের সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২২ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। সেই বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ থাকলেও দিল্লির পক্ষ থেকে তিস্তা জট খোলা নিয়ে কোনো সুখবর ছিলো না।

তিস্তা প্রসঙ্গে মোদি বলেছেন, তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে।

ভারতীয় কারিগরি দল আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা একটা বড় প্রকল্প। সেটার জন্য তো কারিগরি দল আসতেই হবে। কারিগর দল আসা মানে এটা খুব ইতিবাচক।

বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ করে মেডিকেল ই-ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে ভারত। কবে নাগাদ এটি চালু হবে- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ই-ভিসা চালুর কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন। বিশেষ করে মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ভিসাও যেনো সহজীকরণ হয়, এ বিষয়ে তারা একটি প্যাকেজ নিয়ে এগোচ্ছে। দিনক্ষণ বলার মতো কর্তৃপক্ষ আমি নই। এটা ভারতীয় হাইকমিশন বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক যুক্ত হওয়ার খবর এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এখনই কোনো কথা বলতে রাজি হননি।