ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ পাননি ৮৫০০ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন করেও ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ৮ হাজার। এছাড়া দেশের ২২০টি কলেজ ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীও পায়নি। রোববার (২৩ জুন) রাতে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ফলাফলে দেখা যায়, গত ২৬ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত একাদশে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন ১৩ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পছন্দের কলেজ পেয়েছেন ১২ লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থী। বাকি ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কোনো পছন্দের কলেজ পাননি। কলেজ না পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। আর একজন শিক্ষার্থীও পায়নি এমন কলেজের সংখ্যা ২২০টি।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থী তার এসএসসির ফলাফল ও অনলাইন আবেদনের সময়ে দেওয়া পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। একজন শিক্ষার্থী ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে দিতে পারেন। অনেকে পছন্দের দুই, তিন বা চারটি কলেজ পছন্দক্রমে দেন।

মূলত তাদের সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায় তারা ভর্তির সুযোগবঞ্চিত হন বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নজর দেশের ভালো কলেজগুলোতে। তারা হাতে গোনা কয়েকটি কলেজ পছন্দক্রমে দেন। যেখানে সবার আকর্ষণ বেশি। এজন্য সেখানে প্রতিযোগিতা হয়। আর সেসব কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই কেবল চান্স (সুযোগ) পান। অনেক সময় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে নম্বরের হিসাবে সামনের কয়েকজন সুযোগ পান। আর জিপিএ-৫ পেয়েও নম্বর কম থাকায় অনেকে বাদ পড়ে যান।

প্রথম ধাপে আবেদন করে যারা কলেজ পাননি, তাদের জন্য কী করণীয় তাও জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় ধাপে চলে যাবে। এখন শিক্ষার্থীদের শুধু অনলাইন আবেদনে গিয়ে পছন্দক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। আমার পরামর্শ থাকবে, তারা যেন পছন্দক্রমে নতুন কিছু কলেজ যোগ করে। তবে আমাদের আসনের কোনো সংকট নেই। সব শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ পাননি ৮৫০০ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ০১:১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন করেও ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ৮ হাজার। এছাড়া দেশের ২২০টি কলেজ ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীও পায়নি। রোববার (২৩ জুন) রাতে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ফলাফলে দেখা যায়, গত ২৬ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত একাদশে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন ১৩ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পছন্দের কলেজ পেয়েছেন ১২ লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থী। বাকি ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কোনো পছন্দের কলেজ পাননি। কলেজ না পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। আর একজন শিক্ষার্থীও পায়নি এমন কলেজের সংখ্যা ২২০টি।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থী তার এসএসসির ফলাফল ও অনলাইন আবেদনের সময়ে দেওয়া পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। একজন শিক্ষার্থী ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে দিতে পারেন। অনেকে পছন্দের দুই, তিন বা চারটি কলেজ পছন্দক্রমে দেন।

মূলত তাদের সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায় তারা ভর্তির সুযোগবঞ্চিত হন বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নজর দেশের ভালো কলেজগুলোতে। তারা হাতে গোনা কয়েকটি কলেজ পছন্দক্রমে দেন। যেখানে সবার আকর্ষণ বেশি। এজন্য সেখানে প্রতিযোগিতা হয়। আর সেসব কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই কেবল চান্স (সুযোগ) পান। অনেক সময় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে নম্বরের হিসাবে সামনের কয়েকজন সুযোগ পান। আর জিপিএ-৫ পেয়েও নম্বর কম থাকায় অনেকে বাদ পড়ে যান।

প্রথম ধাপে আবেদন করে যারা কলেজ পাননি, তাদের জন্য কী করণীয় তাও জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় ধাপে চলে যাবে। এখন শিক্ষার্থীদের শুধু অনলাইন আবেদনে গিয়ে পছন্দক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। আমার পরামর্শ থাকবে, তারা যেন পছন্দক্রমে নতুন কিছু কলেজ যোগ করে। তবে আমাদের আসনের কোনো সংকট নেই। সব শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবে।