হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি রিজভীর
- আপডেট সময় : ০৫:২০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বার্তা না পেলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এক আলোচনা সভা ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি আমরা। হরতাল-অবরোধ শান্তির প্রবক্তারাই চালু করেছে। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বোঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
রিজভী বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ কোনো সহিংস কর্মসূচি না। হরতাল অবরোধ শান্তির কর্মসূচি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে একটি অবৈধ সরকারকে অচল করে দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা ভীতিকর অসুস্থ সমাজ তৈরি করেছেন। ভীতি ও আতঙ্কের অন্ধকার রাত তৈরি করে তিনি আরেকটি নির্বাচন করে নিজে নিজে প্রধানমন্ত্রী ও সরকার গঠন করার পাঁয়তারা করছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আদালতের কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গায়েবী মামলা দেখে আমরা তা বুঝতে পারছি।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা নানা দুঃশাসন দেখেছি, এই দেড় দশকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা তাণ্ডব দেখেছি। আমরা তাণ্ডব দেখেছি সশস্ত্র যুবলীগ, ছাত্রলীগের। যেখানেই দেখি সেখানেই তাদের ছাত্রলীগ যুবলীগের লোক। এই সমাজে কি আর কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় চান্স পায় না? শুধু তারাই চান্স পাবে? যারা সক্রিয় রাজনীতি করে তারা খুব কম চান্স পায়, কিন্তু একটি মাত্র দলের তারা সবাই চান্স পায়। বিসিএস পরীক্ষায় ভেরিফিকেশন গেলে পুলিশ দেখে সেই ছেলেটা আওয়ামী লীগ পরিবারের নাকি। যদি দেখে তার কেউ বা কোনো আত্মীয় বিএনপি করে তাহলে সে চান্স পায় না। তাকে ক্যাডার বানানো হয় না। এইজন্য ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে জনগণ পেরে ওঠে না।’
বিজভী বলেন, ‘এই সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ।