ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আব্বাসের হাতেই গাজা তুলে দেবেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৯ মাস ধরে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ছোট্ট এই উপত্যকা। এত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলেও এই যুদ্ধ থামার কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই। তবে যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভাগ্যে কী ঘটবে, তা নিয়ে পরিকল্পনার অন্ত নেই। যুদ্ধ শেষে গাজাকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এতদিন এই মার্কিন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এখন প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও তলে তলে সে বিরোধিতা থেকে সরে এসেছেন তিনি। শেষমেষ মাহমুদ আব্বাসের হাতেই গাজাকে তুলে দিতে চান নেতানিয়াহু।

টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুযায়ী, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পরিকল্পনা থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার বিরোধিতা থেকে থেকে সরে এসেছে নেতানিয়াহু সরকার। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন তিনজন কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি।

দুজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, মাসের পর মাস নেতানিয়াহুর কার্যলয় থেকে যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত না করার বিষয়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে গাজা নিয়ে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরির প্রচেষ্টা বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ে। এখনো প্রকাশ্যে নেতানিয়াহু গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসনের বিরোধিতা করে আসছেন। গত সপ্তাহে চ্যানেল ফোরটিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এই উপকূলীয় অঞ্চলে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না তিনি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতেও তিনি গাজাকে তুলে দেবেন না।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বদলে তিনি সেখানে একটি বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। এতে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি প্রতিবেশী আরব দেশ থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতানিয়াহু।

তবে গোপনে অন্য কিছুই ভাবছেন নেতানিয়াহু। তার শীর্ষ সহকারীরা বলছেন, স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্ভর করতে হলে ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষবে যুক্ত করতে হবে। এটাই ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প হবে। দুজন ইসরায়েলি ও একজন মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরেকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, স্থানীয় ফিলিস্তিনি বলতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বোঝানো হয়। এটা তাদের সাংকেতিক নাম।

২০০৭ সালের আগ পর্যন্ত গাজা শাসন করেছে মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তবে ২০০৭ সালে তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে হামাস। এখন পর্যন্ত হামাসের হাতেই রয়েছে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির ছোট্ট এই উপত্যকা। আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন ক্ষমতা কার্যত অধিকৃত পশ্চিম তীরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আব্বাসের হাতেই গাজা তুলে দেবেন নেতানিয়াহু

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৯ মাস ধরে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ছোট্ট এই উপত্যকা। এত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলেও এই যুদ্ধ থামার কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই। তবে যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভাগ্যে কী ঘটবে, তা নিয়ে পরিকল্পনার অন্ত নেই। যুদ্ধ শেষে গাজাকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এতদিন এই মার্কিন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এখন প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও তলে তলে সে বিরোধিতা থেকে সরে এসেছেন তিনি। শেষমেষ মাহমুদ আব্বাসের হাতেই গাজাকে তুলে দিতে চান নেতানিয়াহু।

টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুযায়ী, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পরিকল্পনা থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার বিরোধিতা থেকে থেকে সরে এসেছে নেতানিয়াহু সরকার। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন তিনজন কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি।

দুজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, মাসের পর মাস নেতানিয়াহুর কার্যলয় থেকে যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত না করার বিষয়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে গাজা নিয়ে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরির প্রচেষ্টা বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ে। এখনো প্রকাশ্যে নেতানিয়াহু গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসনের বিরোধিতা করে আসছেন। গত সপ্তাহে চ্যানেল ফোরটিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এই উপকূলীয় অঞ্চলে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না তিনি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতেও তিনি গাজাকে তুলে দেবেন না।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বদলে তিনি সেখানে একটি বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। এতে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি প্রতিবেশী আরব দেশ থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতানিয়াহু।

তবে গোপনে অন্য কিছুই ভাবছেন নেতানিয়াহু। তার শীর্ষ সহকারীরা বলছেন, স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্ভর করতে হলে ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষবে যুক্ত করতে হবে। এটাই ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প হবে। দুজন ইসরায়েলি ও একজন মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরেকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, স্থানীয় ফিলিস্তিনি বলতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বোঝানো হয়। এটা তাদের সাংকেতিক নাম।

২০০৭ সালের আগ পর্যন্ত গাজা শাসন করেছে মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তবে ২০০৭ সালে তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে হামাস। এখন পর্যন্ত হামাসের হাতেই রয়েছে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির ছোট্ট এই উপত্যকা। আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন ক্ষমতা কার্যত অধিকৃত পশ্চিম তীরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।