ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারজুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমা ও অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে কাচিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অস্ত্র ও বোমা গুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রে আঘাত করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো, এ নিয়ে মঙ্গলবার (২রা জুলাই) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।

কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সেও ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউ জানান, এই রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো অনেক সময় লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে পড়ে না। যখন এই পদার্থ পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে যা মানবশরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

মিয়ানমারের নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী অলাভজনক সংস্থা ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা মূল্যায়ন করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছে সংস্থাগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

মিয়ানমারজুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমা ও অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে কাচিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অস্ত্র ও বোমা গুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রে আঘাত করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো, এ নিয়ে মঙ্গলবার (২রা জুলাই) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।

কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সেও ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউ জানান, এই রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো অনেক সময় লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে পড়ে না। যখন এই পদার্থ পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে যা মানবশরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

মিয়ানমারের নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী অলাভজনক সংস্থা ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা মূল্যায়ন করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছে সংস্থাগুলো।