০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২৩

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি অবৈধ সোনার খনিতে ভূমিধসে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪৫ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি অবৈধ স্বর্ণের খনিতে এই ভূমিধস শুরু হয়।

উদ্ধার অভিযান চালানো সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা আলজাজিরাকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৬৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভারী কাদার কারণে উদ্ধারকারীদের বিপর্যয়ের জায়গায় পৌঁছানোর জন্য ২০ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয়েছে। এ কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

রবিবার গোরোন্তালো প্রদেশের বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তীব্র বৃষ্টিপাতের পরে ভূমিধসের কারণে খনি শ্রমিক এবং আশেপাশের বাসিন্দারা কাদামাটিতে আটকে যায়।

গত দুই দিনে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তা ও সৈন্যসহ ২৭০ জনেরও বেশি লোককে মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্মকর্তা আফিফুদ্দিন ইলাহুদে বলেছেন, ভারী বর্ষণ, কাদামাটি এবং বনভূমির কারণে অভিযান ব্যহত হচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষ ভারী সরঞ্জামসহ উদ্ধারকারীদের পাঠিয়েছে।

“অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল এখনও পৌঁছানো যাচ্ছে না, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহৃত হচ্ছে,” ইলাহুদে বলেন।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, শনিবার থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে একটি বাঁধও ভেঙে গেছে, যার ফলে বোন বোলাঙ্গোর পাঁচটি গ্রামে ৩ মিটার (১০ ফুট) পর্যন্ত বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৩০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সহস্রাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

প্রায় ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারেরও বেশি মানুষ নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র পালিয়ে গেছে।

“খনি শ্রমিকরা একটি কম্পন অনুভব করে এবং তারপরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এলাকাটি মাটির নিচে তলিয়ে যায়। দশ সেকেন্ডর মধ্যে সব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল”, মুহারি আল জাজিরাকে বলেন।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দেশটির সর্বশেষ বড় খনি দুর্ঘটনা ঘটে ২০২২ সালের এপ্রিলে। এর আগে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি অবৈধ স্বর্ণের খনিতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ মাটিচাপা পড়ে মারা গিয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২৩

আপডেট : ১২:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি অবৈধ সোনার খনিতে ভূমিধসে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪৫ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি অবৈধ স্বর্ণের খনিতে এই ভূমিধস শুরু হয়।

উদ্ধার অভিযান চালানো সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা আলজাজিরাকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৬৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভারী কাদার কারণে উদ্ধারকারীদের বিপর্যয়ের জায়গায় পৌঁছানোর জন্য ২০ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয়েছে। এ কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

রবিবার গোরোন্তালো প্রদেশের বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তীব্র বৃষ্টিপাতের পরে ভূমিধসের কারণে খনি শ্রমিক এবং আশেপাশের বাসিন্দারা কাদামাটিতে আটকে যায়।

গত দুই দিনে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তা ও সৈন্যসহ ২৭০ জনেরও বেশি লোককে মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্মকর্তা আফিফুদ্দিন ইলাহুদে বলেছেন, ভারী বর্ষণ, কাদামাটি এবং বনভূমির কারণে অভিযান ব্যহত হচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষ ভারী সরঞ্জামসহ উদ্ধারকারীদের পাঠিয়েছে।

“অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল এখনও পৌঁছানো যাচ্ছে না, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহৃত হচ্ছে,” ইলাহুদে বলেন।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, শনিবার থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে একটি বাঁধও ভেঙে গেছে, যার ফলে বোন বোলাঙ্গোর পাঁচটি গ্রামে ৩ মিটার (১০ ফুট) পর্যন্ত বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৩০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সহস্রাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

প্রায় ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারেরও বেশি মানুষ নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র পালিয়ে গেছে।

“খনি শ্রমিকরা একটি কম্পন অনুভব করে এবং তারপরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এলাকাটি মাটির নিচে তলিয়ে যায়। দশ সেকেন্ডর মধ্যে সব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল”, মুহারি আল জাজিরাকে বলেন।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দেশটির সর্বশেষ বড় খনি দুর্ঘটনা ঘটে ২০২২ সালের এপ্রিলে। এর আগে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি অবৈধ স্বর্ণের খনিতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ মাটিচাপা পড়ে মারা গিয়েছিল।