ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা পুনর্বহাল করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। এতে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন ও সংযোজন বিয়োজন করতে পারবে। সরকারি চাকরিতে কোটায় পূরণ না হলে মেধা তালিকা থেকে নেয়া যাবে বলেও এই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।

এর আগে গতকাল (বুধবার, ১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ১০ শতাংশ নারীর, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের ১০, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ মিলিয়ে দেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার প্রচলন ছিল ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ওই বছরই কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাত সদস্য ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। গত ৫ জুন সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এতে আবারও সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে আসে।

পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।

এরপর থেকে আবারও আন্দোলনে নামে কোটা সংস্কারে সমর্থনকারী ছাত্ররা। আজও কোটা সংস্কারের দাবিতে ডাকা কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর আগে মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাতবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাদের সমর্থনকারী শিক্ষার্থীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আপডেট সময় : ১১:১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

কোটা পুনর্বহাল করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। এতে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন ও সংযোজন বিয়োজন করতে পারবে। সরকারি চাকরিতে কোটায় পূরণ না হলে মেধা তালিকা থেকে নেয়া যাবে বলেও এই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।

এর আগে গতকাল (বুধবার, ১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ১০ শতাংশ নারীর, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের ১০, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ মিলিয়ে দেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার প্রচলন ছিল ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ওই বছরই কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাত সদস্য ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। গত ৫ জুন সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এতে আবারও সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে আসে।

পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।

এরপর থেকে আবারও আন্দোলনে নামে কোটা সংস্কারে সমর্থনকারী ছাত্ররা। আজও কোটা সংস্কারের দাবিতে ডাকা কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর আগে মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাতবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাদের সমর্থনকারী শিক্ষার্থীরা।