০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার : শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে আন্দোলনকারীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শনিবার (১৩ই জুলাই) সকল জেলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইন বৈঠক। এছাড়াও আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল সোয়া ৬টায় রাজধানীর শাহবাগে বৃহস্পতিবারের বাংলা ব্লকেডে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার আন্দোলনে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শেকৃবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাইবোনদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি আমাদের সমন্বয়ককে চড় থাপ্পড় মেরেছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি সমন্বয়কদের অভয় দিয়ে বলতে চাই, কেউ যদি আমাদের ওপর হামলা চালায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, কুমিল্লায় এক সাংবাদিক বন্ধুর উপর পুলিশ হামলা করেছে। তা ছাড়া কিছু অছাত্র-কুছাত্রদের দিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাস ভরে রাখা হয়েছিল। পরে শাহবাগে কিছু কুচক্রী মহল তাদের দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। সাংবাদিকরা গত ৫ জুন থেকে নিরলসভাবে আমাদের দাবির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।

এর আগে বিকেলে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে যায়। এতে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে বসে পড়েন। এরপর শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশনে ডেকে আইন পাসের কথা জানান কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। নাহলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

কোটা সংস্কার : শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট : ১০:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে আন্দোলনকারীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শনিবার (১৩ই জুলাই) সকল জেলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইন বৈঠক। এছাড়াও আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল সোয়া ৬টায় রাজধানীর শাহবাগে বৃহস্পতিবারের বাংলা ব্লকেডে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার আন্দোলনে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শেকৃবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাইবোনদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি আমাদের সমন্বয়ককে চড় থাপ্পড় মেরেছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি সমন্বয়কদের অভয় দিয়ে বলতে চাই, কেউ যদি আমাদের ওপর হামলা চালায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, কুমিল্লায় এক সাংবাদিক বন্ধুর উপর পুলিশ হামলা করেছে। তা ছাড়া কিছু অছাত্র-কুছাত্রদের দিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাস ভরে রাখা হয়েছিল। পরে শাহবাগে কিছু কুচক্রী মহল তাদের দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। সাংবাদিকরা গত ৫ জুন থেকে নিরলসভাবে আমাদের দাবির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।

এর আগে বিকেলে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে যায়। এতে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে বসে পড়েন। এরপর শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশনে ডেকে আইন পাসের কথা জানান কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। নাহলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।