০১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইস্যুতে উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইস্যুতে উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি। নেতৃত্ব সক্ষমতার প্রমাণ দিতে না পারলেও প্রার্থিতা ছাড়তে চাইছেন না জো বাইডেন। এতে নড়বড়ে হচ্ছে ডেমোক্র্যাট শিবির। তাই সংকট মোকাবিলায় বাইডেন ছাড়া বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর কথা ভেবে রেখেছে দলটি। অন্যদিকে রাজনৈতিক লড়াইয়ে মুখের বুলি দিয়ে এগিয়ে থাকলেও, ট্রাম্প নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে মনে করছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ।

নভেম্বরে হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে নেতৃত্ব সক্ষমতা নিয়ে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে করে এই মুহূর্তে মহাসংকটের মুখোমুখি তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা প্রায় প্রতিটি সদস্যের। তবুও নাছোড়বান্দা ৮১ বছর বয়সী এই ডেমোক্রেট নেতা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে বিষয়টি নিয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী তিনি।

এ অবস্থায় বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান যত জোরালো হোক না কেন, তাকে টেনে নামানোর কোনো উপায় নেই। কারণ মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রার্থীর পদ নির্ধারিত হয় বাছাইপর্বের নির্বাচনের মাধ্যমে। ডেমোক্রেটিক পার্টির বাছাইপর্বের নির্বাচন শেষে বাইডেন ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রায় ৪ হাজার ডেলিগেটের সমর্থন অর্জন করেছেন।

আগামী আগস্ট মাসে শিকাগোয় হতে যাওয়া দলের নির্বাচনী কনভেনশনে তার ডেলিগেটরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কথা রয়েছে। তবে বাইডেনকে মনোনয়ন দেয়ার পক্ষে সমর্থন দেয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। চাইলে অন্য কাউকেও ভোট দেয়ার সুযোগ আছে।

এখনও বাইডেন নিজে সরে যাওয়ার কোনও ইঙ্গিত না দেয়ায় কোনো প্রতিপক্ষ তাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেনি। তবে তার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করার মতো কারা যোগ্য এমন বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছে। যেখানে প্রথমেই রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার এবং ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার এই দৌঁড়ে আছেন।

রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে মুখের বুলিকে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেব ব্যবহার করে প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ পুরো ডেমোক্রেট শিবিরকে টালমাটাল করে তুলছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে রিপাবলিকান এই নেতাও নেতৃত্ব দেয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ। যেখানে ট্রাম্প কথা ও কাজে বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। এমনকি বলা হয়েছে, তিনি দেশের চেয়ে নিজেকে বেশি প্রাধান্য দেন।

আগামী সপ্তাহে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ঠিক এমন সময় এসব কারণ দেখিয়ে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাছাইয়ের সিদ্ধান্তটি হতাশার বলে মনে করছে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ।

এদিকে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেও তার সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে হবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ট্রাম্প এর আগে তার রানিং মেট হিসেবে একজন নারীকে চান বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এরইমধ্যে সম্ভাব্য নয়জনের তালিকাও হয়েছে, তবে সেখানে প্রায় সবাই পুরুষ। এরমধ্যে নেতৃস্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সিনেটর জেডি ভ্যান্স এবং সিনেটর মার্কো রুবি। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স যে থাকছেন না তা পুরোপুরি নিশ্চিত।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইস্যুতে উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি

আপডেট : ০২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইস্যুতে উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি। নেতৃত্ব সক্ষমতার প্রমাণ দিতে না পারলেও প্রার্থিতা ছাড়তে চাইছেন না জো বাইডেন। এতে নড়বড়ে হচ্ছে ডেমোক্র্যাট শিবির। তাই সংকট মোকাবিলায় বাইডেন ছাড়া বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর কথা ভেবে রেখেছে দলটি। অন্যদিকে রাজনৈতিক লড়াইয়ে মুখের বুলি দিয়ে এগিয়ে থাকলেও, ট্রাম্প নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে মনে করছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ।

নভেম্বরে হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে নেতৃত্ব সক্ষমতা নিয়ে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে করে এই মুহূর্তে মহাসংকটের মুখোমুখি তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা প্রায় প্রতিটি সদস্যের। তবুও নাছোড়বান্দা ৮১ বছর বয়সী এই ডেমোক্রেট নেতা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে বিষয়টি নিয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী তিনি।

এ অবস্থায় বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান যত জোরালো হোক না কেন, তাকে টেনে নামানোর কোনো উপায় নেই। কারণ মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রার্থীর পদ নির্ধারিত হয় বাছাইপর্বের নির্বাচনের মাধ্যমে। ডেমোক্রেটিক পার্টির বাছাইপর্বের নির্বাচন শেষে বাইডেন ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রায় ৪ হাজার ডেলিগেটের সমর্থন অর্জন করেছেন।

আগামী আগস্ট মাসে শিকাগোয় হতে যাওয়া দলের নির্বাচনী কনভেনশনে তার ডেলিগেটরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কথা রয়েছে। তবে বাইডেনকে মনোনয়ন দেয়ার পক্ষে সমর্থন দেয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। চাইলে অন্য কাউকেও ভোট দেয়ার সুযোগ আছে।

এখনও বাইডেন নিজে সরে যাওয়ার কোনও ইঙ্গিত না দেয়ায় কোনো প্রতিপক্ষ তাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেনি। তবে তার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করার মতো কারা যোগ্য এমন বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছে। যেখানে প্রথমেই রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার এবং ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার এই দৌঁড়ে আছেন।

রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে মুখের বুলিকে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেব ব্যবহার করে প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ পুরো ডেমোক্রেট শিবিরকে টালমাটাল করে তুলছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে রিপাবলিকান এই নেতাও নেতৃত্ব দেয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ। যেখানে ট্রাম্প কথা ও কাজে বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। এমনকি বলা হয়েছে, তিনি দেশের চেয়ে নিজেকে বেশি প্রাধান্য দেন।

আগামী সপ্তাহে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ঠিক এমন সময় এসব কারণ দেখিয়ে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাছাইয়ের সিদ্ধান্তটি হতাশার বলে মনে করছে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ।

এদিকে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেও তার সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে হবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ট্রাম্প এর আগে তার রানিং মেট হিসেবে একজন নারীকে চান বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এরইমধ্যে সম্ভাব্য নয়জনের তালিকাও হয়েছে, তবে সেখানে প্রায় সবাই পুরুষ। এরমধ্যে নেতৃস্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সিনেটর জেডি ভ্যান্স এবং সিনেটর মার্কো রুবি। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স যে থাকছেন না তা পুরোপুরি নিশ্চিত।