ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টায় এআর-ফিফটিন রাইফেল ব্যবহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোন স্নাইপার বন্দুক নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহার করা হয় ‘এআর-ফিফটিন’ সেমি অটোমেটিক রাইফেল। এই আগ্নেয়াস্ত্রটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় যুক্তরাষ্ট্রেই। দেশটির ৯টি শহরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের। যদিও এক প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শতাংশ জনগণের কাছে রয়েছে এআর-ফিফটিন ধরনের রাইফেল। এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তার ভক্ত ও নিউইর্য়কবাসী।

মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইর্য়ক টাইসমের এক চিত্র সাংবাদিকদের তোলা একটি ছবিতে স্পষ্ট দেখা যায়, পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময়, মাথার খুব কাছ থেকে হামলাকারীর গুলিটি কান স্পর্শ করে যায় ট্রাম্পের।

সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, কোন স্নাইপার রাইফেল নয়, ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহার করা হয় সেমিঅটোমেটিক এআর ফিফটিন রাইফেল। আর এই আগ্নেয়াস্ত্রটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মার্কিন মু্ল্লুকেই। যেটির ওজন প্রায় তিন কেজি। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শতাংশ নাগরিকের কাছেই রয়েছে এআর ফিফটিনের মতো একই ধরনের অস্ত্র। সবমিলিয়ে দেশটির ২৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেন এই রাইফেল।

যদিও ক্যার্লিফোনিয়া, ওয়াশিংটন, নিউইর্য়ক, নিউজার্সিসহ পাচটি রাজ্যে এই আগ্নেরাস্ত্র ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেমিঅটোমেটিক এআর ফিফটিন রাইফেল দিয়ে প্রতি মিনিটে করা যায় ৮শ রাউন্ড গুলি। ঘায়েল করা যায় ৮শ’ মিটারের মধ্যে থাকা লক্ষ্যবস্তু।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্টে ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ট্রাম্পের ভক্ত ও সমর্থকরা। নিউইর্য়কের ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে প্ল্যাকার্ড ও পতাকা হাতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানান তারা। বলেন, ‘এই হামলা ন্যাক্কারজনক।’

সমর্থকদের একজন বলেন, ‘আমি এখানে আছি সবার প্রতিনিধিত্ব করতে। একজন মোটরসাইকেল আরোহী হিসেবে, একজন আমেরিকান নাগরিকের জন্য বিষয়টি খুব দুঃখজনক।’

আরেকজন বলেন, ‘যা ঘটেছে, এই দেশের জন্য একটি ট্র্যাজেডি ছিল। এটা অকল্পনীয়, ভাবতে পারিনি এরকম কিছু ঘটতে পারে। আমি ট্রাম্পের জন্য প্রার্থনা করি। তিনি আমাদের দেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, দেশকে বাঁচাতে সে তার জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে।’

শুধু নিউনির্য়কবাসী নয়, ট্রাম্পের ওপর এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও। সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ

রাজনৈতিক ব্যক্তির সমাবেশে এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসেরে দক্ষতা নিয়েও।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টায় এআর-ফিফটিন রাইফেল ব্যবহার

আপডেট সময় : ১১:২১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

কোন স্নাইপার বন্দুক নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহার করা হয় ‘এআর-ফিফটিন’ সেমি অটোমেটিক রাইফেল। এই আগ্নেয়াস্ত্রটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় যুক্তরাষ্ট্রেই। দেশটির ৯টি শহরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের। যদিও এক প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শতাংশ জনগণের কাছে রয়েছে এআর-ফিফটিন ধরনের রাইফেল। এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তার ভক্ত ও নিউইর্য়কবাসী।

মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইর্য়ক টাইসমের এক চিত্র সাংবাদিকদের তোলা একটি ছবিতে স্পষ্ট দেখা যায়, পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময়, মাথার খুব কাছ থেকে হামলাকারীর গুলিটি কান স্পর্শ করে যায় ট্রাম্পের।

সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, কোন স্নাইপার রাইফেল নয়, ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহার করা হয় সেমিঅটোমেটিক এআর ফিফটিন রাইফেল। আর এই আগ্নেয়াস্ত্রটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মার্কিন মু্ল্লুকেই। যেটির ওজন প্রায় তিন কেজি। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শতাংশ নাগরিকের কাছেই রয়েছে এআর ফিফটিনের মতো একই ধরনের অস্ত্র। সবমিলিয়ে দেশটির ২৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেন এই রাইফেল।

যদিও ক্যার্লিফোনিয়া, ওয়াশিংটন, নিউইর্য়ক, নিউজার্সিসহ পাচটি রাজ্যে এই আগ্নেরাস্ত্র ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেমিঅটোমেটিক এআর ফিফটিন রাইফেল দিয়ে প্রতি মিনিটে করা যায় ৮শ রাউন্ড গুলি। ঘায়েল করা যায় ৮শ’ মিটারের মধ্যে থাকা লক্ষ্যবস্তু।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্টে ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ট্রাম্পের ভক্ত ও সমর্থকরা। নিউইর্য়কের ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে প্ল্যাকার্ড ও পতাকা হাতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানান তারা। বলেন, ‘এই হামলা ন্যাক্কারজনক।’

সমর্থকদের একজন বলেন, ‘আমি এখানে আছি সবার প্রতিনিধিত্ব করতে। একজন মোটরসাইকেল আরোহী হিসেবে, একজন আমেরিকান নাগরিকের জন্য বিষয়টি খুব দুঃখজনক।’

আরেকজন বলেন, ‘যা ঘটেছে, এই দেশের জন্য একটি ট্র্যাজেডি ছিল। এটা অকল্পনীয়, ভাবতে পারিনি এরকম কিছু ঘটতে পারে। আমি ট্রাম্পের জন্য প্রার্থনা করি। তিনি আমাদের দেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, দেশকে বাঁচাতে সে তার জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে।’

শুধু নিউনির্য়কবাসী নয়, ট্রাম্পের ওপর এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও। সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ

রাজনৈতিক ব্যক্তির সমাবেশে এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসেরে দক্ষতা নিয়েও।