ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মেয়েরা রাজাকার বলে স্লোগান দেয়, কোন দেশে বাস করছি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রোকেয়া হলের মেয়েরা রাজাকার বলে স্লোগান দেয়, কোন চেতনা তারা বিশ্বাস করে? এ কোন দেশে বাস করছি? এই প্রশ্ন রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয়/বিভাগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে যারা নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা পায়না তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে? তারা কি শিক্ষা পেয়েছে?

তিনি বলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী, রাজাকার বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছে, আমার ভাবতে অবাক লাগে যখন শুনি রোকেয়া হলের ছাত্রীরা বলে তারা রাজাকার। প্রধানমন্ত্রী এসময় জিজ্ঞেস করেন, তারা কি জানে ৭১ এর ২৫শে মার্চ কি হয়েছিলো সেখানে? তিনশ মেয়েকে হত্যা করেছিলো। ৪০ জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো পাকিস্তানী বাহিনী।

তিনি বলেন দিনের পর দিন তাদের উপর পাশবিক অত্যাচার করেছিলো। এসব অত্যাচার এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন দু:খ হয় মেয়েরা এই স্লোগান দেয়। এরা কি চেতনায় তারা বিশ্বাস করে? কি শিক্ষা তারা নিয়েছে?

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি রোধে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারের বদনাম হলেও দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করা হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের বদনাম নিয়ে ভাবি না, দুর্নীতি করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজ নিজ কর্মস্থলে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের নির্দেশ নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত জবাবদিহিতা না থাকলে কাজ সঠিকভাবে শেষ হয় না। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের নিচ দিকেও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। এজন্য নজরদারি রাখতে হবে। সরকারি কাজে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে পুরস্কৃত করা হবে।

সরকারি কাজে টাকার যাতে যথাযথ ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি দমনের আমাদের সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আছে। এর বাস্তবায়ন দরকার বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় সুশাসন নিশ্চিতের তাগিদ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারি কর্তকর্তাদের দক্ষতা অর্জনের পাশাপশি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ যেমন করতে চাই , সেই সাথে যারা কাজ করে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়ানোর দিকেও দৃষ্টি দিয়েছি। যেখানেই অনিয়ম হবে সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন দুর্নীতি খুব কম লোকই করে, কিন্তু বদনামটা হয় বেশি। এই দায় সরকারের উপরে দেয়া হয়। যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত হবে তাদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে হবে।

আমি সমাজটাকে শুদ্ধ করে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন নানা কারণে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যের দাম বেড়েছে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেয়েরা রাজাকার বলে স্লোগান দেয়, কোন দেশে বাস করছি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

রোকেয়া হলের মেয়েরা রাজাকার বলে স্লোগান দেয়, কোন চেতনা তারা বিশ্বাস করে? এ কোন দেশে বাস করছি? এই প্রশ্ন রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয়/বিভাগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে যারা নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা পায়না তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে? তারা কি শিক্ষা পেয়েছে?

তিনি বলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী, রাজাকার বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছে, আমার ভাবতে অবাক লাগে যখন শুনি রোকেয়া হলের ছাত্রীরা বলে তারা রাজাকার। প্রধানমন্ত্রী এসময় জিজ্ঞেস করেন, তারা কি জানে ৭১ এর ২৫শে মার্চ কি হয়েছিলো সেখানে? তিনশ মেয়েকে হত্যা করেছিলো। ৪০ জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো পাকিস্তানী বাহিনী।

তিনি বলেন দিনের পর দিন তাদের উপর পাশবিক অত্যাচার করেছিলো। এসব অত্যাচার এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন দু:খ হয় মেয়েরা এই স্লোগান দেয়। এরা কি চেতনায় তারা বিশ্বাস করে? কি শিক্ষা তারা নিয়েছে?

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি রোধে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারের বদনাম হলেও দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করা হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের বদনাম নিয়ে ভাবি না, দুর্নীতি করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজ নিজ কর্মস্থলে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের নির্দেশ নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত জবাবদিহিতা না থাকলে কাজ সঠিকভাবে শেষ হয় না। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের নিচ দিকেও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। এজন্য নজরদারি রাখতে হবে। সরকারি কাজে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে পুরস্কৃত করা হবে।

সরকারি কাজে টাকার যাতে যথাযথ ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি দমনের আমাদের সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আছে। এর বাস্তবায়ন দরকার বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় সুশাসন নিশ্চিতের তাগিদ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারি কর্তকর্তাদের দক্ষতা অর্জনের পাশাপশি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ যেমন করতে চাই , সেই সাথে যারা কাজ করে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়ানোর দিকেও দৃষ্টি দিয়েছি। যেখানেই অনিয়ম হবে সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন দুর্নীতি খুব কম লোকই করে, কিন্তু বদনামটা হয় বেশি। এই দায় সরকারের উপরে দেয়া হয়। যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত হবে তাদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে হবে।

আমি সমাজটাকে শুদ্ধ করে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন নানা কারণে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যের দাম বেড়েছে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।