০৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবির হলে হলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ছাত্রলীগ

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হলেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। কোটা সংস্কারকারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হলও ছাড়তে হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কক্ষও। এ সময় শয়নের কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়ে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, মাজহারুল কবির শয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এবং তানভীর হাসান সৈকত কবি জসীম উদ্‌দীন হলের ৩১৮ নম্বর কক্ষে থাকেন। বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের নেতারা থাকেন এমন সব কক্ষ ভাঙচুরের একপর্যায়ে এই দুই নেতার কক্ষও ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুরের একপর্যায়ে শয়নের কক্ষে একটি পিস্তল পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, গতকাল রাতে ইউজিসি দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে এই সংখ্যা খুবই কম।

এখন পর্যন্ত বেগম রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক, হাজী মুহাম্মদ মহসিন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান, সূর্যসেন, জসিমউদ্দিন হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল হল থেকেই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বের করে দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হলের প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে ‘হল রাজনীতিমুক্ত’—লিখে হলের প্যাডে মুচলেকাও নিয়েছেন আন্দোলনরতসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন কিছু মুচলেকার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে। যদিও এসব নিয়ে দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষও ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থী। তবে এসময় তাঁরা কেউই হলে ছিলেন না।

সরেজমিনে আজ বুধবার সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখগুলোতে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকেই ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিচয়পত্র যাচাই করে তবেই প্রবেশ করতে পারছেন তাঁরা।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহতদের জন্য আজ বুধবার গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন তাঁরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

ঢাবির হলে হলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ছাত্রলীগ

আপডেট : ০১:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হলেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। কোটা সংস্কারকারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হলও ছাড়তে হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কক্ষও। এ সময় শয়নের কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়ে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, মাজহারুল কবির শয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এবং তানভীর হাসান সৈকত কবি জসীম উদ্‌দীন হলের ৩১৮ নম্বর কক্ষে থাকেন। বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের নেতারা থাকেন এমন সব কক্ষ ভাঙচুরের একপর্যায়ে এই দুই নেতার কক্ষও ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুরের একপর্যায়ে শয়নের কক্ষে একটি পিস্তল পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, গতকাল রাতে ইউজিসি দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে এই সংখ্যা খুবই কম।

এখন পর্যন্ত বেগম রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক, হাজী মুহাম্মদ মহসিন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান, সূর্যসেন, জসিমউদ্দিন হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল হল থেকেই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বের করে দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হলের প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে ‘হল রাজনীতিমুক্ত’—লিখে হলের প্যাডে মুচলেকাও নিয়েছেন আন্দোলনরতসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন কিছু মুচলেকার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে। যদিও এসব নিয়ে দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষও ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থী। তবে এসময় তাঁরা কেউই হলে ছিলেন না।

সরেজমিনে আজ বুধবার সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখগুলোতে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকেই ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিচয়পত্র যাচাই করে তবেই প্রবেশ করতে পারছেন তাঁরা।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহতদের জন্য আজ বুধবার গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন তাঁরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।