০৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাষণ শুরু করেন তিনি। শুরুতে সরকার প্রধান আশুরার দিনে কারবালায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনকে ব্যবহার করছেন। আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় সরকারপ্রধান ‘বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, আপনজন হারানোর বেদনা যে কতো কষ্টের তা আমার থেকে কেউ ভালো জানেন না।

তিনি বলেন সন্ত্রাসীরা কোটাবিরোধী আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে। এদের সাথে আন্দোলনকারীদের কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।

হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে এবং যাদের উসকানিতে এই প্রাণহানি, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন গতকাল মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

এ অবস্থায় মঙ্গলবারই সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ ৬ জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

জাতির উদ্দেশে ভাষণে সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ০৭:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাষণ শুরু করেন তিনি। শুরুতে সরকার প্রধান আশুরার দিনে কারবালায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনকে ব্যবহার করছেন। আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় সরকারপ্রধান ‘বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, আপনজন হারানোর বেদনা যে কতো কষ্টের তা আমার থেকে কেউ ভালো জানেন না।

তিনি বলেন সন্ত্রাসীরা কোটাবিরোধী আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে। এদের সাথে আন্দোলনকারীদের কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।

হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে এবং যাদের উসকানিতে এই প্রাণহানি, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন গতকাল মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

এ অবস্থায় মঙ্গলবারই সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ ৬ জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।