ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উত্তরায় পুলিশের গুলিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-পথচারীসহ ৪জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে আহত আরও শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মিজানুর রহমান তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আহত হয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, শতাধিক ছাত্র আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অনেককেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে সংঘর্ষে নিহত এক ছাত্রকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

এছাড়া উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান বলেন, ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া দুপুর দেড়টার দিকে হাউজবিল্ডিং থেকে রাজলক্ষ্মী মোড় পর্যন্ত সড়কে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করে। পরে তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।

এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে জড়ো হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে মূল সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, জমজম টাওয়ার থেকে মিছিল নিয়ে আজমপুর বিমানবন্দর মহাসড়কে আসলে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছাত্ররা ইট পাটকেল মারতে থাকে।

রাজধানী বিমানবন্দর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি), নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা হাইস্কুল, নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টঙ্গী সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

উত্তরায় পুলিশের গুলিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-পথচারীসহ ৪জন নিহত

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে আহত আরও শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মিজানুর রহমান তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আহত হয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, শতাধিক ছাত্র আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অনেককেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে সংঘর্ষে নিহত এক ছাত্রকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

এছাড়া উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান বলেন, ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া দুপুর দেড়টার দিকে হাউজবিল্ডিং থেকে রাজলক্ষ্মী মোড় পর্যন্ত সড়কে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করে। পরে তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।

এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে জড়ো হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে মূল সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, জমজম টাওয়ার থেকে মিছিল নিয়ে আজমপুর বিমানবন্দর মহাসড়কে আসলে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছাত্ররা ইট পাটকেল মারতে থাকে।

রাজধানী বিমানবন্দর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি), নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা হাইস্কুল, নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টঙ্গী সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।