ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সচল অর্থনীতি, ব্যাংক-শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাঁচ দিনের অচলাবস্থার পর সীমিত আকারে সচল হল অর্থনীতি। ইন্টারনেট সংযোগ ফেরায় লেনদেন হয়েছে ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজারে। আসতে শুরু করেছে রেমিট্যান্স। কারখানায় ঘুরেছে শিল্পের চাকা। বন্দর সরগরম হয়ে উঠেছে আমদানি-রপ্তানিতে। শিগগিরই অর্থনীতি পুরোদমে স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তিন কার্যদিবসসহ মোট পাঁচ দিন পর বুধবার সকালে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় ফিরেছে প্রাণ। অফিসমুখী মানুষের চলাচল বেড়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ শাখায় হয় লেনদেন, চলে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

তবে ব্যাংকে টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার চাপ প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। ফলে অল্প সময়েই সেবা পান গ্রাহকরা। সচল হয়েছে এটিএম বুথগুলোও, কেটেছে নগদ টাকার সংকট। বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা তোলেন স্বজনেরা।

স্বজনেরা বলছেন, ইন্টারনেট ফিরে এসেছে বলে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা তুলতে পেরেছে অনেকেই। জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

সোনালী ব্যাংকের সিইও আফজাল করিম জানান, কয়েকদিনের সহিংসতায় ব্যাংকগুলো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শিগগিরই পূর্ণ লেনদেন শুরু হবে।

ব্যাংক বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহক সময়মতো ঋণের কিস্তি ও নানা রকম ফি জমা দিতে পারেননি। তাদের গুনতে হবে সুদ ও জরিমানা। তবে ব্র্যাকসহ অনেক ব্যাংক এই অর্থ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

বিএবি চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘তিন ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। তবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির প্রভাব দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।’

সারা দেশে খুলেছে গার্মেন্টস কারখানাগুলো। কয়েকদিনের বিরতির পর কাজে যোগ দেন লাখো শ্রমিক। বন্দর সচল হওয়ায় পণ্য রপ্তানিও শুরু হয়েছে। চলছে আমদানিও।

নিউজটি শেয়ার করুন

সচল অর্থনীতি, ব্যাংক-শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

পাঁচ দিনের অচলাবস্থার পর সীমিত আকারে সচল হল অর্থনীতি। ইন্টারনেট সংযোগ ফেরায় লেনদেন হয়েছে ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজারে। আসতে শুরু করেছে রেমিট্যান্স। কারখানায় ঘুরেছে শিল্পের চাকা। বন্দর সরগরম হয়ে উঠেছে আমদানি-রপ্তানিতে। শিগগিরই অর্থনীতি পুরোদমে স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তিন কার্যদিবসসহ মোট পাঁচ দিন পর বুধবার সকালে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় ফিরেছে প্রাণ। অফিসমুখী মানুষের চলাচল বেড়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ শাখায় হয় লেনদেন, চলে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

তবে ব্যাংকে টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার চাপ প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। ফলে অল্প সময়েই সেবা পান গ্রাহকরা। সচল হয়েছে এটিএম বুথগুলোও, কেটেছে নগদ টাকার সংকট। বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা তোলেন স্বজনেরা।

স্বজনেরা বলছেন, ইন্টারনেট ফিরে এসেছে বলে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা তুলতে পেরেছে অনেকেই। জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

সোনালী ব্যাংকের সিইও আফজাল করিম জানান, কয়েকদিনের সহিংসতায় ব্যাংকগুলো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শিগগিরই পূর্ণ লেনদেন শুরু হবে।

ব্যাংক বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহক সময়মতো ঋণের কিস্তি ও নানা রকম ফি জমা দিতে পারেননি। তাদের গুনতে হবে সুদ ও জরিমানা। তবে ব্র্যাকসহ অনেক ব্যাংক এই অর্থ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

বিএবি চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘তিন ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। তবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির প্রভাব দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।’

সারা দেশে খুলেছে গার্মেন্টস কারখানাগুলো। কয়েকদিনের বিরতির পর কাজে যোগ দেন লাখো শ্রমিক। বন্দর সচল হওয়ায় পণ্য রপ্তানিও শুরু হয়েছে। চলছে আমদানিও।